উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫/১২/২০২২ ৭:৩৭ এএম

আগামী ৭ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে আসছেন। ওই দিন সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী-পাটোয়ারটেক সৈকতে অনুষ্ঠেয় তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত নৌশক্তি মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীনসহ ৩৬টির বেশি দেশ অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। ওই দিন বেলা আড়াইটায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টের কাছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দলীয় জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এ ব্যপারে সড়ক বিভাগ কক্সবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহে আরেফীন বলেন,জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্বনেত্রী, মানবতার মা ও সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি দেশকে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দিয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়েছেন। “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। কক্সবাজারকে বিশ্বের অপরুপ সৌন্দর্যময় স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই সাফল্যময় প্রকল্পগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে বেলা আড়াইটায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টের কাছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কক্সবাজার সড়ক বিভাগাধীন তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেবেন।

কক্সবাজারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলো হচ্ছে——–

টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ জেলা মহাসড়ক (জেড-১০৯৯)- হাড়িয়াখালী হতে শাহপরীরদ্বীপ অংশ পুনঃ নির্মাণ, প্রশস্তকরণ এবং শক্তিশালীকরণ প্রকল্প।

এটি বালাদেশের সর্বদক্ষিণে টেকনাফ-শাহপরীরদ্বীপ জেলা মহাসড়কটি অবস্থিত। সড়কটি ঐ এলাকার জনসাধারণসহ মায়ানমার হতে আমদানিকৃত পণ্য পরিবহনের প্রধান সড়ক।টেকনাফে অবস্থিত লবন্দর দিয়ে এবং সর্বদক্ষিণের জনসাধারণের কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার হতে ৫.৫০ মিটারে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নতুন নির্মাণ, প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ করার প্রকল্পটি গ্রহণ করেন।এই প্রকল্পে ৫.১৫ কিঃ মিঃ সড়কাংশ, ১ টি সেতু ও ১২ টি কালভার্ট রয়েছে।

এ ব্যপারে প্রকল্প পরিচালক ও কক্সবাজার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মোঃ শাহে আরেফীন বলেন, “প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় ঐ এলাকার জনসাধারণ সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। তাছাড়া ঐ এলাকার উৎপাদিত পণ্যসমূহ নির্বিঘ্নে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সহজে পৌঁছানো সহজতর হচ্ছে। সড়কটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ প্রান্ত শাহপরীরদ্বীপকে সংযুক্ত করার ফলে দেশী-বিদেশী পর্যটকের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে”। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ৫৯ কোটি টাকা।

কক্সবাজার জেলার লিংক রোড-লাবণী মোড় সড়ক (এন-১১০) চারলেনে উন্নীতকরণ শীর্ষক প্রকল্প।কক্সবাজার জেলার লিংক রোড-লাবণী মোড় সড়কটি পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত। প্রতিনিয়ত দেশী-বিদেশী লক্ষ লক্ষ পর্যটকের সমাগমে এই সড়কটি মুখরিত থাকে। বর্তমান সরকার পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে আধুনিকায়ন করণের লক্ষ্যে সড়কটি চারলেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প গ্রহণ করেন। প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য-৯.৬৪ কিঃ মিঃ। যার মধ্যে ২০ (বিশ) টি কালভার্ট অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

এ ব্যপারে প্রকল্প পরিচালক ও চট্টগ্রাম সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন বলেন, “প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় দেশী-বিদেশী পর্যটকসহ ঐ এলাকার জনসাধারণ সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। তাছাড়া সড়কের উভয় পার্শ্বে সড়ক বাতি স্থাপন করায় রাতের আলোতে সুপ্রশস্ত ফুটপাত ধরে পর্যটকদের আনাগোনা এই নগরীর দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে”। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ২১৭
কোটি টাকা।

কক্সবাজার জেলার রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৯ এবং এন-১১৩) যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ” প্রকল্প।

কক্সবাজার জেলার রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৯ এবং এন-১১৩) দিয়ে ঐ এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী যাতায়াত করে থাকেন। রামু সেনানিবাসের অবস্থানের কারণে সীমান্তবর্তী কক্সবাজার জেলার এই সড়কটির সামরিক গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়া বর্ণিত সড়কের পার্শ্বে রামু বৌদ্ধমন্দির অবস্থিত। যার সৌন্দর্য অবলোকনের জন্য লক্ষ লক্ষ দেশী-বিদেশী পর্যটক এই সড়কে আগমন করে থাকেন।উক্ত সড়কটি চট্টগ্রাম হতে সরাসরি টেকনাফ গমনের একমাত্র মাধ্যম হওয়ার কারণে বর্তমান সরকার সড়কটিকে ৩.৭০ মিটার হতে ১০.৩০ মিটারে উন্নীতকরণের প্রকল্প গ্রহণ করেন। যার মধ্যে ২ (দুই) টি সেতু ও ১৪ (চৌদ্দ) টি কালভার্ট অন্তর্ভূক্ত আছে।

এ ব্যপারে চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোঃ আতাউর রহমান বলেন, “প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় টেকনাফ হতে দেশের প্রতান্ত অঞ্চলে মায়ানমার হতে আমদানীকৃত পণ্যসমূহ এবং মায়ানমার থেকে সাময়িক আশ্রিত রোহিঙ্গা শরাণার্থীদের বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ক্যাম্প সমূহে পরিবহন সহজতর হয়েছে এবং সড়কের দুরত্ব ১২ কিঃ মিঃ হ্রাস পেয়েছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকসহ ঐ এলাকার জনসাধারণ সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। পর্যটকসহ জনসাধারণ নিরাপদভাবে ঐ সড়কটি ব্যবহার করছে”। প্রকল্পটি সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে ১৮৪ কোটি টাকা।

পাঠকের মতামত

চকরিয়ায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের হট্টগোল

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল ...