ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২/০৫/২০২৩ ৭:০২ এএম

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এরই মধ্যে রূপ নিয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। এটি বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভোররাতে আবহাওয়া অধিদফতরের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে অধিদফতরের ৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া ‘মোখা’ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এই হিসেবে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের দিকে আরও ২০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরের দিকে আরও ২৫ কিলোমিটার এগিয়েছে।

Cycloneভোররাতে আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ দশমিক ০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি বৃহস্পতিবার (১১ মে) ভোররাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

Cycloneএই অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র প্রভাবে দেশের সব উপকূলীয় এলাকা ১০ থেকে ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের হুমকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত পৌনে ৪টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।

Cycloneপোস্টে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক এই পিএইচডি গবেষক লিখেছেন, বাংলাদেশের সকল উপকূলীয় এলাকা ১০ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের হুমকির সম্মুখীন। ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপর দিয়ে আঘাত করলেও পুরো বাংলাদেশের সকল উপকূলীয় জেলায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে ঘূর্ণিঝড়টি যাত্রাপথ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান ও আকৃতির কারণে।

এছাড়া অপর এক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে আঘাত করতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এমনকি স্থলভাগের উপরে উঠার পরেও ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ১৬৭ কিলোমিটার।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...