কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এসময় অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী (চট্টমেট্রো-জ-১১-২০১৯) নম্বরের ‘পালকি পরিবহন’ নামের একটি বাস হ্নীলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দুই মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে। এতে মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে চাপা পড়ে এবং চালকসহ আরোহীরা গুরুতর আহত হয়। ধাক্কার পর বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পূর্ব পাশে থাকা লবণ মাঠে উল্টে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী হোয়াব্রাং এলাকার মৃত নাগু সওদাগরের পুত্র জকির আহমদ জেকি (৪০) ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে হ্নীলা ও টেকনাফের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জকির আহমদ জেকি মারা যান। নিহতের মরদেহ আপাতত পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এ ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা অপর আরোহী মোহাম্মদ আলীর পুত্র সিফাত (১৪) গুরুতর অবস্থায় আইএমও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া বাসে থাকা প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করে এবং সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মোটরসাইকেল দুটি খুব দ্রুতগতিতে চলছিল। তারা হ্নীলা স্টেশন থেকে হোয়াব্রাংয়ের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সামনে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই বাসটি উল্টে যায়।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।স্থানীয়রা জানান, হ্নীলা-টেকনাফ সড়কে প্রতিনিয়ত বেপরোয়া গতিতে যান চলাচলের কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। তারা দ্রুত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জায়েদ নুর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন।