বাসস:
কক্সবাজারে সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে এবং এর আশপাশে দেওয়া ৯টি বালু মহালের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করেছে আদালত।
আজ রোববার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসাথে এ ৯টি বালুমহাল বিধি বহির্ভূতভাবে ইজারা প্রদানের উদ্দেশ্যে তালিকাভুক্ত করা সংবিধান ও অন্যান্য আইনের পরিপন্থি বিধায় কেন তা বেআইনি, আইনি কর্তৃত্ববিহীন ও জনস্বার্থ বিরোধী ঘোষণা করা হবেনা- জানতে চেয়ে বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেছেন আদালত।
বালু মহালগুলো বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে এবং ইজারাযোগ্য বালুমহালের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বালু উত্তোলনের ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে বনাঞ্চল সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করা বালু মহালগুলো হলো, চকরিয়া উপজেলার খুঁটাখালী-১, রামু উপজেলার ধলীরছড়া ও পানিরছড়া, উখিয়া উপজেলার বালুখালী-১, দোছড়ি, পালংখালী, হিজলিয়া, ধোয়াংগারচর ও কুমারিয়ারছড়া।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস হাসানুল বান্না বলেন, এই ৯ বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি উল্লিখিত বন এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ইজারা গ্রহীতাসহ অন্যান্য দোষী ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত এবং বালু উত্তোলনের কারণে বনের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে প্রতিবেদন আকারে তিন মাসের আদালতে দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মামলায় বেলার পক্ষে আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গোলাম রহমান ভুইঁয়া।