উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯/১২/২০২২ ৭:০৮ এএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আয়োজনে ‘বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় পর্যটনে রোহিঙ্গা অভিবাসনের প্রভাব নির্ধারণ’ শীর্ষক উন্মুক্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন তার গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন।

পিএইচডি গবেষক মো. মহিউদ্দিন বলেন, কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এ অঞ্চলের অনেক মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক অভিগমন হওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আসার কারণে কক্সবাজার জেলার পর্যটন শিল্পের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে পরিবেশগত ও আর্থ-সামাজিক প্রভাব অনেক বেশি। বন উজাড়, পানি দূষণ, বর্জ্য সমস্যা প্রকট হয়েছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পর্যটন শিল্পে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হারানো, বাংলাদেশ ব্যবসা বাণিজ্যের ওপরও প্রভাব পড়েছে। এছাড়া সামাজিক প্রভাব বিশেষ করে নিরাপত্তা সংকট, মাদক ব্যবসা, অপহরণসহ অন্যান্য প্রভাব যা পর্যটন শিল্পের জন্য হুমকি।

তিনি আরও বলেন, আমার গবেষণার বিষয় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে কক্সবাজার এলাকায় পর্যটন শিল্পের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়েছে তার একটি সমীক্ষা করা এবং দেশের পলিসি মেকারদের একটি সাজেশন্স দেওয়া; যাতে তারা রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সঠিক কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমাদের গবেষণায় প্রাথমিক ও গৌণ উভয় ধরনের তথ্যই ব্যবহার করা হবে।

গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে পর্যটনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয় হচ্ছে। এটা সামগ্রিক রাষ্ট্রের পরিবেশ জন্যও ঝুঁকি।

অধ্যাপক ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় জনগণও দায়ী। তবে আর্থ সামাজিক নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার বিকল্প নেই।

অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খন্দকার বলেন, এ ধরনের গবেষণা সরকার পর্যায়ে অনেক কাজে আসবে।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...