কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লুট করে নিয়ে গেছে অযুখানার পানির ট্যাপসহ অর্ধলক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন মালামাল। শনিবার (২ মে) দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
খরুলিয়া বাজারে দায়ীত্বরত পাহারাদার থেকে মাত্র কয়েক গজ ব্যবধানে এ মসজিদে চুরির ঘটনায় মুসল্লিসহ স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি বৃহত্তর খরুলিয়া এলাকায় ছিনতাই ও চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে ওই মসজিদের ইমাম নুরুল হক গোসল করতে বাথরুমে ঢুকলে দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে তালা দিয়ে তাকে আবদ্ধ করে রাখেন। পরে মসজিদের খাদেমদের রুমের ভেতরে ঢুকে প্রতিটি তলাতেই প্রবেশ করে।
দুর্বৃত্তরা মসজিদের অফিস রুমে রাখা মাইকের অ্যামপ্লিফায়ারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও তাদের রক্ষিত টাকা নিয়ে যায়। এ ছাড়া নিচতলায় মেহরাবে থাকা একটি আলমারিসহ দ্বিতীয় তলার কয়েকটি আলমারি ভেঙে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায় এবং কাগজপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল তছনছ করে। পরে অনেক চেষ্টা করে বাথরুম থেকে বের হয়ে ইমাম নুরুল হক এসে চুরির ঘটনা দেখতে পেয়ে মুসল্লি ও মোয়াজ্জিনসহ অন্যদের জানান।
বাজার কমিটির উদ্যোগে খরুলিয়া এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া লকডাউনে রয়েছে পুলিশের একাধিক টহল টিম। এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করে খরুলিয়া কেন্দ্রীয় মসজিদে চুরির ঘটনায় মুসল্লিসহ স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ ও বিস্মিত।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউপি সদস্য শরীফ উদ্দিন এবং আব্দুর রশিদ জানান, সম্প্রতি এলাকায় চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। পরপর বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটলেও এর কোনো প্রতিকার না হওয়ায় চোরের দল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মসজিদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তফা কামাল জানান, মসজিদে চুরির ঘটনা খুবই ন্যক্কারজনক। সংঘবদ্ধ একটি চোরের দল গভীর রাতে মসজিদের ট্যাপসহ মূল্যবান বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ চুরির ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা দরকার।
তারা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতানসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।