প্রকাশিত: ০১/০৮/২০২২ ১০:৩২ এএম


ভাতিজাকে নেতৃত্বে না আনায় কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বদিউল আলম আমীরের বিরুদ্ধে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা লোটাস নামের আরেক ছাত্রলীগ নেতাকেও মারধর করা হয়।

রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে কক্সবাজার জেলা পরিষদ কার্যালয় কম্পাউন্ডে এ ঘটনা ঘটে।

আহত কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী তামজিদ পাশা ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা লোটাস কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তবে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা বদিউল আলম আমীরের দাবি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক দুজনই তার ভাতিজাকে সভাপতি বানাতে বলার পরও সদর সভাপতি তামজিদ অন্য আরেকজনকে কমিটি দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়াও ভাতিজাকে সভাপতি বানাতে দুই লাখ টাকা দিয়েও নেতা না করায় উত্তেজিত হয়ে তিনি এমন কাণ্ড করেছেন।

কিন্তু টাকা দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আমীরের উপস্থাপিত সাক্ষী আরেক আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান।

সূত্র জানায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি নেই বেশ কিছুদিন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ও সদর আসনের সংরক্ষিত নারী সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমেদের বাড়ি চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের খামারপাড়ায়। এ কারণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনকালে মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা আহমেদের পরামর্শ নিয়ে নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের পদায়িত করেন। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে শূন্য থাকা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করতে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহর ছেলে ওমর হাবিবকে সভাপতি ও ছাত্রলীগকর্মী নাবিল রেজাকে সম্পাদক করে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল। এটি জানতে পেরে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা সদর আওয়ামী লীগ নেতা বদিউল আলম আমীর তার ভাতিজা শাকিল আমীরকে সভাপতি বা সম্পাদক করার তদবির করেন। সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী তামজিদ পাশা নারী সাংসদ বা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিয়ে ফোন করাতে বলেন। আমীর ফোন না করিয়ে রোববার কমিটি চূড়ান্ত হচ্ছে জেনে জেলা পরিষদ এলাকায় এসে ছাত্রলীগ সভাপতি পাশাকে আক্রমণে রক্তাক্ত করেন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তানজিদ ওয়াহিদ লোটাসকে বেদম প্রহার করা হয়।

এদিকে হামলার ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে রাতে সদর থানায় এজাহার দিয়েছেন কাজী তামজীদ পাশা।

অভিযুক্তরা হলেন- বদিউল আলম আমির (৪৮), তার স্ত্রী ইউপি মেম্বার সাবিনা ইয়াছমিন (৪২), ভাতিজা শাকিল আমির (২৪) ও রাকিব আমির (২০)। এতে অজ্ঞাতনামা রয়েছে আরও ৫-৬ জন।

আহত কাজী তামজীদ পাশা বলেন, বদিউল আলম আমির কলাতলীর আমীর ড্রিম নামের একটি কটেজ মালিক। তার বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার নানা অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ক একটি শালিসে তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। এরমাঝে তার ভাতিজাকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা বানানোর তদবির আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক গ্রহণ করিনি। আগের বিষয় ও তার আবদার না রাখা সব মিলিয়ে পরিকল্পিত হামলার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।

অভিযুক্ত বদিউল আলম আমীর বলেন, ভাতিজাকে নেতা বানাতে পাশাকে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়। যার প্রমাণ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। তবে সে ভিডিও ফুটেজ সাংবাদিকদের দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানকে দিয়েছেন বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান বলেন, ভিডিও ফুটেজ তো দূরের কথা টাকা নেওয়ার বিষয়ে মৌখিক কোনো অভিযোগও আমার কাছে কেউ করেনি।

কক্সবাজার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা পাশার ওপর হামলার ঘটনায় একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সুত্র: জাগো নিউজ

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...