ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১১/০৫/২০২৩ ৯:১২ এএম

ছোট গাড়ির বেপরোয়া গতিই পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরে দুর্ঘটনার বড় কারণ-এমনটাই মনে করেন কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগ। তাই তিন চাকার গাড়ির সামনে অবৈধ বাম্পারগুলো খুলে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। এতে চালকরা সচেতনভাবে ও সীমিত গতিতে গাড়ি চালাবে, কমবে দুর্ঘটনা।

সম্প্রতি কক্সবাজার শহরে ঘটে যাওয়া কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে জানা যায়, সড়কগুলো প্রশস্ত ও ভালো হওয়ায় সিএনজি, টমটম ও ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো অতিরিক্ত গতিতে চলাফেরা করে। এই বেপরোয়া গতির কারণে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। প্রায় প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক লোক পঙ্গুত্ব বরণ করছে।

তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ও নিরাপদ সড়ক কর্মসূচির আওতায় ছোট যানবাহনের অবৈধ বাম্পারগুলো খুলে ফেলার সাঁড়াশি উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ, কক্সবাজার। এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১০) বিকেল ৩টার দিকে কক্সবাজার শহরের জাম্বুর মোড় ও লাবনী চৌরাস্তা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ চেকপোস্ট করে সিএনজি ও টমটম এর বাম্পারে রং দিয়ে চিহ্নিত করে চালকদের অবৈধ বাম্পার খুলে ফেলার নির্দেশনা দিয়ে এই প্রচার অভিযান চালিনো হয়।

এসময় কক্সবাজার জেলা ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

তিনি জানান, কক্সবাজার শহরের সড়কের প্রস্থ অনেক বড় হয়েছে। রাস্তা ভালো হয়েছে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা কমছে না। এখানে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (টমটম) এর অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া গতি। ছোট যাববাহনের বেপরোয়া গতি কমাতে গাড়ির বাম্পার সরিয়ে নিতে চালকদের বোঝানোর জন্য এই অভিযান চালাচ্ছি। আজ প্রথমদিনে লাল রং দিয়ে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে দিচ্ছি। এটি যদি আগামী দুইদিনের মধ্যে তারা বাম্পার না খুলে চিহ্ন দেখে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। নিরাপদ সড়ক আইন ও ট্রাফিক আইনসহ নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ভবিষ্যতে জেলায় এ রকম আরও কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পাঠকের মতামত