কক্সবাজারে বাড়ছে ঠান্ডা, ভোর রাতে কনকনে হাওয়া
দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে শীতের প্রকোপ ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ভোর ও রাতে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে হালকা কুয়াশায় বদলে গেছে সমুদ্রনগরীর স্বাভাবিক আবহাওয়া।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনে কক্সবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে অবস্থান করছে। বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি তুলনামূলক বেশি হচ্ছে।
শীতের শুরুতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও জেলেরা। কুতুবদিয়া ঘাটের জেলে আবু তাহের বলেন, রাতে সাগরে গেলে ঠান্ডা বেশি লাগে। বাতাসও কনকনে। আগের চেয়ে শীত অনেক বেশি মনে হচ্ছে।
শহরের কলাতলী এলাকার বাসিন্দা রাশেদ মাহমুদ বলেন, ভোরে ঘুম থেকে উঠলে গরম কাপড় ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। হালকা কুয়াশাও থাকছে।
শীতের প্রভাব পড়েছে পর্যটন এলাকাতেও। সকালের দিকে হালকা কুয়াশায় সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য কিছুটা ঝাপসা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ছে। শীতল আবহাওয়ায় সৈকতে হাঁটা, সূর্যাস্ত দেখা ও ছবি তুলতে পর্যটকদের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতে, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করা জরুরি। গরম কাপড় ব্যবহার ও ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন রাত ও ভোরে ঠান্ডা আরও বাড়তে পারে। তাই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উপকূলীয় এই জেলায় শীতের আগমন মানেই প্রকৃতির এক ভিন্ন রূপ। শীতল বাতাস, নরম রোদ আর ঢেউয়ের শব্দে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে শীতের নতুন অধ্যায়।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, বর্তমানে উত্তরের শীতল বাতাস উপকূলীয় এলাকায় প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে রাত ও ভোরে তাপমাত্রা কম অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন এই অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আপাতত বড় ধরনের শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই।