প্রকাশিত: ১৭/১২/২০২১ ৪:৩৮ পিএম

বিজয় দিবস ও টানা তিন দিনের ছুটিতে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের সমাগম হয়েছে কক্সবাজারে। এ কারণে হোটেলে রুম না পেয়ে ফুটপাত, সৈকতের বালিয়াড়ি ও বাসে রাত্রি যাপন করছে পর্যটকরা।

গত বুধবার থেকেই কক্সবাজারমুখী লাখো মানুষ। এতে পর্যটন নগরীর চার শতাধিক হোটেল-মোটেলে চড়া দামেও রুম পাওয়া যাচ্ছে না।

বাধ্য হয়ে ফুটপাতে রাত যাপন করছে অনেকে। আবার কেউ কেউ বাসেই রাত কাটাচ্ছেন। এসবের মাঝেও পর্যটকদের সৈকতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ।

টুরিস্ট পুলিশের এক পরিদর্শক ঢাকা পোস্টকে বলেন, সৈকতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে টুরিস্ট পুলিশের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। মাস্ক পরিধানসহ শারীরিক দূরত্ব মানতে প্রচারণার পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে অভিযোগ কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটরের (টুয়াক) সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, একদিনেই তিন লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। এর আগের দিনও একই রকম। কক্সবাজারের সাড়ে চার শতাধিক হোটেলে দুই লক্ষাধিক অতিথি থাকতে পারেন। বাকিদের একটু কষ্ট করে রাত অতিবাহিত করতে হচ্ছে।

এদিকে হোটেলে রুম না পাওয়ার সুযোগে খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোও বাড়তি দাম রাখছে। পাশাপাশি পর্যটন এলাকায় রাস্তা মেরামতের কাজ চলমান থাকায় যানজটসহ নানা সংকট ও দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটকরা। অনেক ভ্রমণকারী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন রাত কাটানোর একটি কক্ষের জন্য।

রংপুর থেকে আসা ফরিদুল ইসলাম নামের এক পর্যটক বলেন, ছুটিতে প্রথমবার কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে এসেছি। কিন্তু, এখনকার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ঢাকার মতো মানুষের ভিড়। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার এলেও এক রাত সৈকতে ঘুরাঘুরিতে কাটিয়েছি। আমার মনে হয় মৌসুমে কক্সবাজার না এসে অফ-সিজনে আসা উচিত।

ঢাকা থেকে আসা ইসতিয়াক হক স্ত্রী নিয়ে প্রথমবার কক্সবাজারে এসেছেন। তারা বলেন, প্রথমবার কক্সবাজারকে এলাম। একসঙ্গে এত মানুষ আর দেখিনি। সৈকতে এত বেশি মানুষ দেখে মনে হচ্ছে, এটা ঢেউয়ের সাগর নয়, যেন মানুষের সাগর।

ফরিদপুরের মুরশেদ বলেন, এতদিন করোনার কারণে ঘরবন্দি জীবন কাটিয়েছি। সাগর পাড়ে এসে মনে হচ্ছে, এখন আমরা মুক্ত পাখির মত উড়ছি, আর ঘুরছি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কক্সবাজারে পর্যটকদের ঢল নামে। ওই দিন রাতেই রাজধানীসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা কয়েকশ নৈশকোচ বৃহস্পতিবার রাত ও সকালে কক্সবাজারে পৌঁছে। এ কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অসহনীয় যানজট লেগে যায়। একসঙ্গে প্রচুর সংখ্যক যানবাহন আসায় সেগুলো কক্সবাজার শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরে থামিয়েই যাত্রীদের নামিয়ে দিতে হচ্ছে। সুত্র: ঢাকাপোস্ট

পাঠকের মতামত