প্রকাশিত: ২৮/০৪/২০২২ ১:২০ পিএম


বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের যাওয়া পর্যটকদের বর্জ্য নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি বলেছে, হাজার হাজার পর্যটক সেখানে যাচ্ছেন, সেখানে বর্জ্যগুলো যাচ্ছে কোথায়? এগুলো তো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কারণ এখনো সেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে ময়লা রাখার কোনো জায়গা (এসটিপি) গড়ে ওঠেনি।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৫তম বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বৈঠক কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, তানভীর ইমাম, আশেক উল্লাহ রফিক, আনোয়ার হোসেন খান ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশ নেন।

কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘মানুষের বর্জ্য নিয়ে আমি বেশ উদ্বিগ্ন। এত হাজার হাজার পর্যটক সেখানে যাচ্ছে, বর্জ্যগুলো যাচ্ছে কোথায়? এগুলো তো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কারণ এখনো তো কেন্দ্রীয়ভাবে সেখানে ময়লা রাখার স্থান (এসটিপি) গড়ে ওঠেনি। কক্সবাজারে সেন্ট্রাল এসটিপি করা এখন সময়ের ব্যাপার। সেজন্য এখন থেকেই হোটেল–মোটেল নির্মাণের প্ল্যান পাস করার সময় অবশ্যই এসটিপি নির্মাণের বাধ্যবাধকতা থাকার ব্যবস্থা রাখতে হবে।’

এছাড়াও তিনি মেরিন ড্রাইভ সম্প্রসারণ করারও প্রস্তাব রাখেন। সবশেষে তিনি সাগরের পানি দূষিত হওয়া থেকে রক্ষার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা জারির পরামর্শ দেন।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজার একটি পর্যটনকেন্দ্র। এ পর্যটনকেন্দ্রে সর্বপ্রথম আমার পিতা ১৯৫৮ সালে একটি হোটেল নির্মাণ করেন। এটা ছিল দেশের সর্বপ্রথম প্রাইভেট হোটেল। এরপর পর্যটন করপোরেশন কিছু হোটেল-মোটেল নির্মাণ করে। কক্সবাজারে পর্যটক এবং পর্যটন সম্পর্কে আমার থেকে ভালো ধারণা কারও নেই। তখন কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত এবং এর আশপাশের পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিল। এখন অনেক বড় বড় ভবন, হোটেল নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু সমুদ্র সৈকত ও এর পরিবেশ আগের মতো আর সুন্দর নেই।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কক্সবাজারে অনেক বড় বড় কর্মকাণ্ড হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠছে এবং বেপজা গড়ে ওঠছে। সোনাদিয়া একটি সুন্দর দ্বীপ, সেখানে শুটকি শুকানোর স্থান একটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হতে পারে। ওই সব স্থানে ট্যুরিস্ট জোন করা গেলে পর্যটনশিল্প অনেক বিকশিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর যে ভিশন আছে, এরমধ্যে কক্সবাজারকে নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। সেজন্য কক্সবাজারে বিশাল বড় আকৃতির রানওয়ে গড়ে তুলতে যাচ্ছেন, যেখানে সব ধরনের বিমান ওঠা-নামা করতে পারবে।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...