প্রকাশিত: ০৮/১২/২০২১ ৭:২৭ এএম

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় দুই বন্ধুর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসার ছাত্রী। গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঝিলংজা মহুরিপাড়াস্থ কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন (উড়নি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার দুদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এলাকা ও সমাজের মাথাদের কাছে ঘটনার সমাধান চেয়েও না পেয়ে ৫দিনের মাথায় কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষিতার মা। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (৭ ডিসেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত) মামলা নথিভুক্ত হয়নি।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ধর্ষণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের মতো করে তদন্ত চলছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

পাশবিকতার শিকার নুরী (ছন্দনাম) সাংবাদিকদের জানায়, গত বুধবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মহুরিপড়া (উড়নি নামক স্থানে) জনৈক ফরিদের দোকানে নাস্তার জন্য গেলে আসার পথে স্থানীয় সিরাজের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (২০) এবং কোনাপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসনের ছেলে ইমরান (১৯) তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। একটি ভাঙ্গা ঘরে হাত, পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

ধর্ষিতার মা’ বলেন, অজ্ঞান অবস্থায় লোকজনের সহযোগিতায় আমার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

তিনি বলেন, আমার স্বামী অপ্রকৃতস্থ (পাগল)। আমি ও আমার দুই মেয়ে প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে কোন রকম সংসার চালিয়ে আসছি। এখন কার কাছে বিচার চাইবো জানা নেই। তবে, সদর থানার বর্তমান ওসি দরিদ্র বান্ধব সেটা একজনের কাছ থেকে শুনে ওনার কাছে এসেছিলাম। আজ (৭ডিসেম্বর) তিনি (ওসি) আবার ডেকেছেন। এসেছি, ওনার নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গেল ১ ডিসেম্বর ‘নুরী’ হাসপাতালের ‘ইওসি’ বিভাগের গাইনি ওয়ার্ডে জি-১২ শয্যায় ভর্তি ছিলেন। ২ ডিসেম্বর তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। হাসপাতালের ছাড়পত্রে শিশুটি ‘সেক্সুয়াল এসল্ট’ হওয়ায় সেবা নিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্তরাই সত্যতা স্বীকার করেছেন। প্রথমে তারা বিষয়টিকে কোন ধরনের পাত্তা না দিলেও এখন মামলা না করে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য তদবির করছেন। ইত্তেফাক

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...