উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
[caption id="attachment_35521" align="alignleft" width="600"] ফাইল ছবি[/caption]
ওপরে, ডানে, বামে ঘিরে থাকবে মাছসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির জলজ প্রাণী। হাঙ্গর ও পিরানহার পাশাপাশি থাকবে কুঁচিয়া, কচ্ছপ, কাঁকড়া, আউসসহ সাগরের তলদেশের নানা কীট-পতঙ্গ।
সঙ্গে সাগরের বৈচিত্র্যময় তলদেশ। এমন অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো ফিশ ওয়ার্ল্ড অ্যাকোয়ারিয়াম হয়েছে কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায়, যা পাড়ি দিতে লাগবে দুই ঘণ্টা।
কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে বিনোদনের নতুন ধাপ সংযোজন করেছে এটি। বেসরকারিভাবে এটি তৈরি করেছে রেডিয়েন্ট গ্রুপ। আজ বৃহস্পতিবার এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে।
রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড অ্যাকোয়ারিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, এটি মালয়েশিয়ার প্রকৌশলীর সহায়তায় নির্মিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের এই অ্যাকোয়ারিয়াম নির্মাণে সময় লেগেছে দুই বছর।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, এটি শুধু কক্সবাজারের জন্য নয়, দেশের পর্যটন শিল্পে বড় ভূমিকা রাখবে। কারণ, এই অ্যাকোয়ারিয়ামে বঙ্গোপসাগরে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মত্স্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
অচেনা এবং বিলুপ্তপ্রায় অনেক মাছও রয়েছে। সাগরের বিলুপ্ত মাছসহ বিভিন্ন প্রাণী সংরক্ষণে একটি জাদুঘরও করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা মত্স্য কর্মকর্তা ড. আবদুল আলীম জানিয়েছেন, কক্সবাজারে স্থাপিত এটিই হচ্ছে দেশের প্রথম সামুদ্রিক ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম।
অ্যাকোয়ারিয়ামের তত্ত্বাবধায়ক সমুদ্র বিজ্ঞানী মো. নুরুল বাকি জানান, অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়েছে সামুদ্রিক শৈল মাছ, হাঙ্গর, পিতম্বরী, আউস, শাপলাপাতা (স্টিং রে), সাগর কুঁচিয়া, বোল, পানপাতা, পাঙ্গাশ, চেওয়া, কাছিম, কাঁকড়া, জেলিসহ অর্ধশতাধিক প্রজাতির মাছ। কিছু বিরল প্রজাতির মাছও এখানে রয়েছে।সুত্র:কালেরকন্ঠ