ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৬/০৪/২০২৩ ১০:২০ এএম

কক্সবাজারের রামুতে গরুর বৈধতার প্রমাণ হিসেবে প্রত্যয়নপত্র প্রথা চালু করেছেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ইসমাইল নোমান। প্রত্যয়নপত্রের জন্য ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা সমালোচনা চলছে।

প্রত্যয়নপত্রের ছবি পোস্ট করে আবছার কবির আকাশ নামক একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন, চেয়ারম্যান মহোদয় গরুর সার্বিক মঙ্গল কামনা করল নাকি গরুর মালিকের সার্বিক মঙ্গল কামনা করল বুঝতে পারছি না।

এসএম রুবেল নামে আরেকজন লিখেছেন, গরুর রচনার পর এবার এলো গরুর প্রত্যয়ন। কিন্তু প্রত্যয়নের কোথায়ও লিখলেন না জন্মসূত্রে গরুটি বাঙালি না বার্মাইয়া।

এ বিষয়ে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ইসমাইল নোমান বলেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বিপুল সংখ্যক গরু আনছেন চোরাকারবারিরা। ফলে দেশীয় খামারিরা পড়েছেন বিপাকে। দেশীয় গরুগুলোকেও অবৈধ ভেবে অভিযান চালানো হয়। তাই স্থানীয় খামারিদের গরুগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে পরিষদ থেকে। যাতে বৈধ ও অবৈধ গরু চিহ্নিত করতে সহজ হয়।

টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশি গরুগুলোর সুরক্ষার জন্য কাজ করতে গিয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে বদনাম ছড়ানো হচ্ছে।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মোস্তফা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অবৈধ গবাদিপশু চোরাচালান রোধে দ্রুতই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠকের মতামত