কক্সবাজারের রামু পেচারদ্বীপ মারমেট ইকো রিসোর্ট থেকে ইয়াবা নিয়ে কর্মচারীসহ দুই জনকে আটক করেছে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ। রোববার ভোর রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা এই আটক অভিযান চালায়।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপ এলাকার মারমেট ইকো রিসোর্ট কেন্দ্রিক মরণ নেশা ইয়াবার ব্যবসা চলে আসছিল।
পাশাপাশি বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়িসহ সেবনকারিদের ইয়াবা সরবরাহ দেয়ার অভিযোগ ওঠে ওই প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এসময় ৪ হাজার ইয়াবা নিয়ে মারমেট ইকো রিসোর্টে টমটম গাড়ী নিয়ে প্রবেশ করে রিসোর্টের কর্মচারী দিদার প্রকাশ দিলু(২৬)। দিলু হিমছড়ি পেচারদ্বীপ এলাকার মৃত ফজল আহমদের পুত্র। ওই সময় গাড়ীতে যাত্রী বেশে ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গডফাদার কলাতলীর ক্রসফায়ারে নিহত মুফিজের ভগ্নিপতি উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকার হাজী ইসলাম এর পুত্র ইয়াবা ব্যবসায়ি মনজুর আলম(৩৮)।
এদিকে ইকো রিসোর্টে ডুকে ইয়াবা নিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার সময় রিসোর্টের গাড়ি পার্কিংয়ে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয় কর্মচারী দিলু ও ইয়াবা গডফাদার মনজুর।
পরে উদ্ধারকৃত ৪ হাজার ইয়াবাসহ তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এই অভিযানে নেতৃত্বে দেন, সহকারি পুলিশ সুপার(হেড কোয়ার্টার) সাইফুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল মনসুর, ইন্সপেক্টর মানস বড়–য়া ও এস.আই মোঃ রিয়াদুল আলম। পরে ৪ ফেব্রুয়ারি জেলা গোয়েন্দা শাখার এস.আই রিয়াদুল আলম বাদী হয়ে রামু থানায় মাদকদ্রব্য আইনে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে মামলার এজাহার দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ইকো রিসোর্টের ভেতরে গাড়ি পার্কিং থেকে ইয়াবাসহ দুই জনকে আটক করা হলেও মামলার এজাহারে ঘটনাস্থল উল্লেখ করা হয়েছে রাস্তায় বা ওশানোগ্রাফিক রিসোর্চ ইনস্টিটিউট এর সামনে।
তবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মুহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, তাদের ধরার জন্য রাস্তায় উৎপেতে ছিল ডিবি পুলিশ। পাশাপাশি রাস্তা থেকে তাদের পিছু নেয়া হয়। তাছাড়া রাস্তা ও ইকো রিসোর্ট এর পার্কিং পাশাপাশি হওয়ায় ঘটনাস্থল রাস্তায় দেখানো হয়েছে।
এদিকে মারমেট ইকো রিসোর্টের কর্মচারী ইয়াবাসহ আটকের ব্যাপারে জানতে চাইলে রিসোর্টের রিসিভশনিস্ট রানা কর্মকার জানান, আটককৃত দিলু ইকো রিসোর্টের কর্মচারী নয়। সে বীচ রিসোর্টের কর্মচারি। একই মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে এক রিসোর্টের কর্মচারি দিয়ে আরেক রিসোর্টে ইয়াবা সরবরাহ দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে রানা বলেন, এটি মালিকপক্ষ বা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাল জানবে। প্রতিবেদককে ওনাদের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে ফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন রানা। সুত্র দৈনিক কক্সবাজার