প্রকাশিত: ২৫/০৪/২০২২ ৩:৪৭ এএম , আপডেট: ২৫/০৪/২০২২ ৪:০০ এএম

সৈয়দুল কাদের ::
কক্সবাজারের বিভিন্ন পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সরাসরি বিএনপি থেকে এসে কাউন্সিলরের ভোটে খোদ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মত দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে পেকুয়া উপজেলার শীলখালী ইউনিয়নে। এছাড়া টাকার ছড়াছড়িতে উদ্বিগ্ন নেতাকর্মীরা। তবে জেলা আওয়ামী লীগ এই ব্যাপারে তীক্ষè নজর রাখছেন বলে জানালেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
ইউনিয়ন ওয়ার্ড এবং পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। দায়িত্ব পেতে বিভিন্ন স্থানে টাকার ছড়াছড়ি চলছে এবং নেতা কর্মীদের মারধর করার অভিযোগও উঠছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক টিমকে নিয়ে টেকনাফ পৌরসভায় মতবিনিময়কালে সামান্য কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছেন টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা। একই দিন পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে খোদ একজন বিএনপি নেতা সভাপতি প্রার্থী হয়ে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালী কোন নেতার ইন্ধনে তিনি প্রার্থী হয়ে টাকা দিয়ে কাউন্সিলরদের প্রভাবিত করে নির্বাচিত হয়েছেন।

মহেশখালীতে চলছে সম্মেলনের কার্যক্রম। প্রতিটি ইউনিয়নে সাংগঠনিক টিমের নেতৃবৃন্দ সম্মেলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স¤প্রতি কুতুবজোম ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংশ্লিষ্টদের একজন টাকা নিয়েও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে একজন সভাপতি প্রার্থী। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে দায়িত্ব প্রাপ্তদের মধ্যে কে টাকা নিয়েছে তা প্রকাশ করব।
এছাড়া একজন সাবেক মেম্বার জানালেন আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও আমাকে দায়িত্ব প্রাপ্তদের মধ্যে কেউ যথাযত মূল্যায়ন করছেন না। সময়মত আমি তার নাম প্রকাশ করব। তিনি আরো জানান, ওয়ার্ড কমিটি করতেও যদি অনিয়মের আশ্রয় নেয় তাহলে অযোগ্যরাই বারবার কমিটিতে আসবে। যারা ওয়ার্ড কমিটি করতেও টাকার লোভ সামলাতে পারেনা তাদের কেন দায়িত্ব প্রদান করা হয় সেটা আমি বুঝতে পারছি না।
এদিকে হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ইউনিয়নের সবকটি ওয়ার্ডের সম্মেলন ইতিপূর্বে সম্পন্ন হলেও নেতৃবৃন্দের মাঝে বিরোধের কারণে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বিগত ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে নেই। তাকে সমর্থন করায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনিও সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে দূরে রয়েছেন। ফলে সিনিয়র সহসভাপতি শান্তিলাল নন্দীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। কিন্তু তারাও বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে থাকায় নৌকা প্রতীকের লোকজন তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তাই যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে অধিকাংশ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চায় পরিচ্ছন্ন সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক। যাতে কোনো সিন্ডিকেট করে কোন কমিটি না হয়। তখন বলয় সৃষ্টি করে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন নির্বাচনে দলের পক্ষে কাজ না করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে উদগ্রীব হয়ে পড়ে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে সবকটি উপজেলা ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে তীক্ষè নজর রাখছি। অভিযোগ এর সত্যতা পেলেই এব্যাপারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...