উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে সৃষ্টি হওয়া বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তবে গতকাল থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পানি নামতে শুরু করলেও এখনো জেলার ৭১টি ইউনিয়নের ২৫ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম পানির নিচে। ফলে পানিবন্দি রয়েছে ওই সব এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।
স্কুল, মাদ্রসা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। এসব এলাকার চিংড়িঘের, রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে বেড়েছে দুর্গত এলাকার মানুষদের।
গতকাল থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে উপর ভাগ থেকে গিয়ে নিছু এলাকায় পানি জমে রয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, রামু, উখিয়া ও টেকনাফের অধিকাংশ এলাকা এখনো পানির নিচে।
জেলার বাঁকখালী ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি দিয়ে উপর প্রবাহিত হচ্ছে। অপরিকল্পতি সুইচ গেটের কারনে পানি সহজে সাগরে নামতে পারছে না। ফলে ২৫ ইউনিয়নের মানুষ এখনো পানিবন্দি। এদিকে এ পর্যন্ত পাহাড় ধসে ও পানিতে ডুবে মারা গেছে ৭ জন। বন্যায় বেড়েছে মানুষের ভোগান্তি।
বন্যার পানিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চকরিয়া। ওই উপজেলার ব্যাপক মৎস্য খামার ও তলিয়ে গেছে।
এদিকে বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, রামু উখিয়ায় অতি বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণে মানুষের ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে দুর্গত এলাকায় নগদ ৪ লাখ টাকা, ৩৩ মেট্টিন চাল খাদ্য সামগ্রি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কোন মানুষ যেন খাবার না পেয়ে না থাকে সে দিকে আমাদেও দৃষ্টি রয়েছে। সুত্র অামাদের সময়