উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১/০১/২০২৩ ৯:৫৫ এএম

রফিকুল ইসলাম ::
নতুন বছরেই নিজ দেশে ফেরার দাবী জানিয়ে সমাবেশ করেছেন রোহিঙ্গারা। গতকাল শনিবার দুপুরে ‘গো হোম ক্যাম্পেইন-২০২৩’ স্লোগানে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সমাবেশ করে রোহিঙ্গারা।

সমাবেশে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাস্টার জোবায়ের বলেন, নতুন বছর এলে পুরো দুনিয়ার মানুষ নিজ নিজ দেশে আনন্দ উদযাপন করে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নতুন বছর বরণের সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে আমরা আমাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে নতুন বছর উদযাপন করতে চাই। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের অনুরোধ, রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিন। গত পাঁচ বছর ধরে শুধু চোখের পানি ফেলেছি, কিন্তু মৌলিক অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার মত পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ছাড়া কারো আন্তরিকতা দেখা যায় নি।
রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মো. মুসা বলেন, নতুন বছর আসে আবার চলে যায়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার কোনও বার্তা আসে না। ২০২৩ সালেই আমরা আমাদের দেশে ফিরতে চাই। এটাই আমাদের প্রাণের দাবি। আমরা আশা করছি, বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের নিজ দেশে ফেরার সুযোগ করে দেবেন।

সমাবেশে দীর্ঘ সময়েও প্রত্যাবাসন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে রোহিঙ্গা নেতারা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বোঝা হয়ে আর থাকতে চাই না। বিশ্বে সব জাতি, গোষ্টি,শ্রেণির মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ উদযাপন করবে। কিন্তু আমরা তখনই আনন্দ উদযাপন করবো যখন নিজ দেশে ফিরতে পারবো। এটাই আমাদের প্রাণের দাবি।
সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে কুতুপালং, বালুখালী ও লম্বাশিয়াসহ আশপাশের ক্যাম্প থেকে কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন রোহিঙ্গারা। সমাবেশে পুরুষের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী-শিশুরা যোগ দেন। এ সময় ‘এনাফ ইজ এনাফ, লেটস গো হোম, ২০২৩ শুড বি রোহিঙ্গা হোম এ এয়ার’ সংবলিত পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে দেশে ফেরার দাবি তোলেন রোহিঙ্গারা। সমাবেশে হাজার হাজার রোহিঙ্গা অংশ নেন। রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায় ও প্রত্যাবাসনের দাবিতে সোচ্চার রোহিঙ্গা নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা এসেছিল। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফে সাড়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে।

পাঠকের মতামত