প্রকাশিত: ২৩/০৭/২০২২ ৮:০১ এএম

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে চলমান মামলায় মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে)। নেদারল্যান্ডসের হেগে কোর্টের প্রেসিডেন্ট জুয়ান ই ডোনাহো প্রায় ৫০ মিনিটের রায়ে মিয়ানমারের চারটি আপত্তি খারিজ করে দেন। এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘এই মামলা চলবে কি চলবে না, বা কোর্টের অধিকার আছে কি নেই, রায়ে সব পরিষ্কার হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, এই মামলা চালানো নিয়ে আর সমস্যা নেই। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এখন মিয়ানমার কিছুটা কোণঠাসা। মামলায় লড়া ছাড়া তাদের উপায় নেই।’

রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলা চলবে, মিয়ানমারের আপত্তি খারিজ

আদালত রায়ে উল্লেখ করে, ২০২১ সালে মিয়ানমার চারটি প্রিলিমিনারি অবজেকশন দেয় এবং এর ফলে মূল মামলা স্থগিত হয়ে যায়।

দুই পক্ষের শুনানির পর আদালত বলে, অবজেকশন ১, ৩ ও ৪ সর্বসম্মতিক্রমে খারিজ হয়েছে এবং অবজেকশন ২ ১৫-১ ভোটে খারিজ হয়েছে।

প্রথম অবজেকশনে মিয়ানমার আপত্তি করেছিল, এই মামলা পরিচালনার অধিকার কোর্টের নেই। দ্বিতীয় অবজেকশন ছিল, এ ধরনের মামলা করার জন্য কোনও দেশের সর্বজনীন ক্ষমতাও নেই। তৃতীয় অবজেকশন হচ্ছে, রোম স্ট্যাটুটের আট নম্বর আর্টিকেল এখানে প্রযোজ্য নয় এবং চতুর্থ অবজেকশন হচ্ছে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোনও বিরোধ ছিল না।

কোর্টে মিয়ানমারের মিলিটারি সরকারের অবস্থান কিছুটা দুর্বল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে অং সান সুচি কোর্টে দাঁড়িয়ে মিয়ানমারকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার দল কোর্টকে জানিয়েছে তারা রোহিঙ্গাদের সমর্থন করে। এতে মিয়ানমার সরকার দুর্বল হয়ে পড়বে।’

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কী করণীয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মামলা নিয়ে আর দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। ফলে এর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দরকার। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল গাম্বিয়া

পাঠকের মতামত