এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আলোচিত মেম্বার ইয়াবা গডফাদার জয়নাল আবেদিন। বিভিন্ন সময় তাকে ধরতে উখিয়া থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও অদৃশ্য কারনে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান তিনি। বর্তমানে সে দিনে কিছুটা সময়ের জন্য প্রকাশ্যে এলেও রাতে থাকেন অাত্বগোপনে। এদিকে তার অবর্তমানে থাইনখালী এলাকার তার যাবতীয় ব্যবসা দেখভাল করছেন তার পার্টনার আনোয়ার। মোবাইলে জয়নালের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সবকিছু ঠিকভাবে পরিচালনা করছেন জয়নাল মেম্বারের বিস্বস্ত সহচর আনোয়ার। এমনটায় জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরকারের পক্ষ থেকে ইয়াবার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনার পর থেকে কয়েক শত মাদক ব্যবসায়ী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। আত্মসমর্পণ করেছেন ১০২ জন ইয়াবাকারবারিও। কিন্তু এখনো ধরাচোঁয়ার বাইরে রয়েছে আলোচিত দশ লাখ ইয়াবা ক্রেতা জয়নাল মেম্বার।
পুলিশের সোর্স হয়ে কাজ শুরু করেন জয়নাল মেম্বার। হঠাৎ বদলে যাওয়া জয়নাল মেম্বার পুলিশের কাছে থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে তা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা ছড়িয়ে দিতো। কিন্তু জয়নালকে আটক না করায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
টানা ১০ বছর ধরে একজন যুবদল নেতা ওপেন সিক্রেট ইয়াবা কারবার করে আসলেও উখিয়া থানা পুলিশ কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তাকে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই সঙ্গে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারার ব্যাপারটি এখন লোকে মুখে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, যুবদল নেতা জয়নাল গেলবারের নির্বাচনে কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছে পালংখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হবার জন্য। মেম্বার নির্বাচিত হয়েই তার ইয়াবা জগতের প্রসার ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, জয়নাল তার ইয়াবা কারবারের নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ সরকার সমর্থিত লোকজনকে তার কাছে নিয়ে আসেন। স্থানীয় প্রতিবাদী মহল ও পুলিশকে জয়নাল মাসে মাসে বিপুল অংকের টাকা দিয়ে তার কারবারকে অধরা করে রাখে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেছেন, ইয়াবা ডন জয়নাল মেম্বারকে ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।