হুমায়ুন কবির জুশান ,উখিয়া ::
একসময় সবুজের চাদরে মোড়া শান্তিময় গ্রাম ছিল বালুখালী, থাইংখালী তথা পালংখালী ইউনিয়ন। কালের আবর্তে সর্বনাশা ইয়াবার থাবাই কেড়ে নিয়েছে সেই শান্তি। যাদের হাতে ক্ষমতা সেই জনপ্রতিনিধিরাই এখন অশান্তির কারণ। আগের দিনের সূর্যটাও অন্ত গেছে বরাবরের মতো শান্ত আকাশ রেখে। কিন্তু রাত গড়াতেই কী হলো এই ইউনিয়নের। ডিবি পুলিশের ছোটাছুটি। এখানে নাকি অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি। তাছাড়া জঙ্গীর আস্তানা আছে কিনা, এবং যুবলীগ নেতার অফিস থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কারা জড়িত ইত্যাদি বিষয়ে গোয়েন্দাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক-উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন গতকাল বালুখালী থাইংখালী এলাকার লোকজনের সাথে যখন এ প্রতিনিধির কথা হচ্ছিল, বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না এখানকার মানুষ। গত ১ এপ্রিল কক্সবাজার ডিবি পুলিশ যুবলীগ নেতা পালংখালী ইউনিয়নের মেম্বার নুরুল আবছার ও জাহাঙ্গীরের অফিস থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে। বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়, বালুখালীতে অস্ত্রধারী দুইটি গ্র“প রয়েছে। যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় একজন অন্যজনকে ইঙ্গিত করে কথা বলছেন। দুটি গ্র“পই ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ায় তাদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অস্ত্র মজুদ করে রেখেছেন। অনেকে আবার এই অস্ত্র মহেশখালী থেকে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে এনেছেন বলে মন্তব্য করেছেন। এখন এখানকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। অনাগত দিনগুলো কীভাবে কাটবে, সে উৎকন্ঠায় কপালে হাত তাদের। মরণনেশা ইয়াবার কারণে এলাকার সচেতন অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছেন। দিনের পর দিন এখানকার পরিবেশ কলুষিত হচ্ছে।