ফারুক আহমদ ::
কক্সবাজারের উখিয়ায় ১৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৮ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ৭টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১১ কিলোমিটার খাল খনন সহ ৪টি ই-ভাউচার সোপ নির্মাণ করা হয়েছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়ন হওয়ায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে গ্রামীণ অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগের দৃশ্যমান আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (বর্তমানে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদায়িত) মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, ইমারজেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট কর্মসূচির আওতায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে হাতে নেয়। গ্রামীণ জনরুত্বপূর্ণ কার্পেটিং সড়ক, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র কাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে ১৭৩ কোটি ১২ লাখ বরাদ্দ দেয়। একই সাথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪ টি ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার নির্মাণ ও খাল খনন করে। উক্ত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
উপজেলা প্রকৌশলী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের মহা উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে উখিয়ায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে। এবারে এডিবির অর্থায়নে বস্তবায়িত ৪৮ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে হোষ্ট কমিউনিটি উখিয়ার ৫ টি ইউনিয়নে ২৬ কিলোমিটার এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ২২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদ্য নির্মাণ হওয়া ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র গুলো হচ্ছে ফলিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এনআই চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুতুরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ হলদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘোনারপাড়া শফী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাগলির বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গুরাইয়ারদ্বীপ দ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এছাড়াও জনগুরুত্বপূর্ণ বাস্তবায়িত উল্লেখযোগ্য কার্পেটিং সড়কগুলো হচ্ছে, রাজাপালং ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম চৌধুরী সড়ক, ফলিয়া পাড়া সড়ক, রতœা পালং ইউনিয়নের কোট বাজার- ভালুকিয়া সড়ক, আলী আহমদ পিনজিরকুল সড়ক ও কোট বাজার ঝাউতলা প্রকল্পের অগ্রগতি হার ৯৫ ভাগ।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার কারণে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সেবার পাশাপশি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা হিসেবে উখিয়ায় অগ্রধিকার মুলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আত্ম সামাজিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।
এদিকে সরজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে মধুর ছড়া-বালুখালী হয়ে ক্যাম্পে ২০ এক্সটেনশন হতে নাফ নদী পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার খাল খননের ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভ্যন্তরে পানি নিষ্কাষণ সহ বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ করতে সক্ষম হয়েছে ।
উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম আরো জানান, উখিয়া টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য শাহিন আকতার চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদির একান্ত প্রচেষ্টায় উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়নে আলোর পথ দেখেছে।
তিনি আরও বলেন কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করতে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর ও এডিশনাল ডিরেক্টর সহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল প্রকল্প সমূহ পরিদর্শন করেন।