(৭৪ জন শিক্ষকের যৌথ বিবৃতি)

উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়ায় কতিপয় অসাধু পেশাগত অভিযোগকারী সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শিক্ষা অফিস সহকারী বশির আহমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগের মাধ্যমে তাকে মানসিকভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ৭৪ জন প্রাথমিক শিক্ষা স্বাক্ষরিত একটি যৌথ বিবৃতি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করে অভিযোগকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অফিস সহকারী বশির আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কতিপয় শিক্ষক দীর্ঘ দিন যাবত সিন্ডিকেট গঠন করে এলাকার অসহায় সাধারণ শিক্ষকদের জিম্মি করে নিয়োগ, বদলী বাণিজ্য সহ যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করার নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের টাকার ফায়দা লুঠে আসছিল।

ওইসব শিক্ষকদের অনৈতিক কর্মকান্ড ও নগ্ন হস্তক্ষেপ করার কারণে তৎকালীন শিক্ষা অফিসার আবু আহমদ, সাহাব উদ্দিন, জবরুত খান ও মোঃ শামীম ভুঞাকে অনাকাঙ্কিতভাবে বদলী হতে হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী বশির আহমদকেও অন্যায়ভাবে বদলী করার জন্য তারা মিথ্যা অভিযোগ ও দেন দরবার চালিয়ে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায়, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ও শিক্ষকের বৃহত্তর স্বার্থে অফিস সহকারী বশির আহমদের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগ বিবেচনা পূর্বক অভিযোগকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার হারুন অর রশিদ জানান, অভিযোগকারী কতিপয় শিক্ষক তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাছিল করতে না পারায় অফিস সহকারী বশির আহমদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর জানান, কতিপয় শিক্ষক অফিস সহকারী বশির আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার সম্প্রতি উক্ত অভিযোগ তদন্ত করেছে। সত্য, মিথ্যা যাছাই করে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারে তার করার কিছু নাই বলে সাংবাদিকদের মতামত ব্যক্ত করেন।

সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার ও তদন্তকারী কর্মকর্তা শহিদুল আজম জানান, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই এ ঘটনার ব্যাপারে সাংবাদিকদের জানার কথা নয়। তবে এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের অভিমত, শিক্ষকদের মধ্যে গ্র“পিং, মত পার্থক্য পড়ালেখার উপর প্রভাব পড়তে পারে।