প্রকাশিত: ২৮/০৬/২০২২ ৩:৩৫ পিএম , আপডেট: ২৮/০৬/২০২২ ৩:৩৬ পিএম

মুহাম্মদ হানিফ আজাদ,উখিয়া

উখিয়া রাজাপালং এম.ইউ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ.কেএম আবুল হাসান আলী ও জামাতের সাবেক আমির ও রুকুনকে উখিয়া-টেকনাফের আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য ডিও লেটার দিয়েছে। ঐ অধ্যক্ষ গেল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮ তারিখ মাদ্রাসা থেকে অবসরের যান। এঘটনাকে কেন্দ্র করে উখিয়ায় বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। অবসর প্রাপ্ত জামায়ের নেতা অধ্যক্ষ একেএম আবুল হাসান আলী বিগত ৯ বছরের ২ কোটি ৫ লক্ষ টাকা লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর ঐ অধ্যক্ষ মাদ্রাসার ২৬ একর জমির টাকার হিসাব দেয়নি মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষকে। তার সময়ের বকেয়ার বিদ্যুৎবিল ২৪ হাজার। জমির খাজনা দিতে হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা। উখিয়া উপজেলার জামাতের আমির মৌলানা আবুল ফজল বলেন রাজাপালং মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম আবুল হাসান আলী উখিয়া উপজেলার ৪ বার জামাতের আমির ছিলেন। এখন বর্তমানে রুকুন। ঐ মাদ্রাসায় শিক্ষকের সংখ্যা ২৭ জন। ২৩ জন শিক্ষক তার বিরুদ্ধে অনাস্তাব প্রস্তাব এনেছে। উখিয়া – টেকনাফের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার ডিও লেটারের মাধ্যমে আরবী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে রাজাপালং মাদ্রাসার সভাপতি হিসাবে মনোয়ন দিলে উখিয়া সৃষ্টি হয় তোলপাট। সচেতন মহলের অভিযোগ একজন জামাত নেতাকে কিভাবে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য ডিও লেটার দিয়েছে তা ভাবার বিষয়। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাজাপালং মাদ্রাসার কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মৌলানা আব্দুল হক। সে আরো জানান দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম আবুল হাসান আলী মাদ্রাসায় মাদ্রাসার সম্পদকে লুটপাট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শিক্ষক মহলের দাবী আবুল হাসান আলীকে উক্ত মাদ্রাসার সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি প্রদান করে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন না করলে মাদ্রাসার ভোগান্তি শেষ হবে না। বর্তমানে সভাপতিকে কেন্দ্র করে ২৭জন শিক্ষক বেতন পায়নি বলে জানিয়েছেন মাদ্সারার শিক্ষক মহিবুল্লাহ। ডিও লেটার দেওয়ার ব্যাপারে উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য শাহিন আক্তারকে বার বার ফোন করেও মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত