উখিয়ার রাজাপালংস্হ তুতুরবিল গ্রামে চিহ্নিত বখাটে যুবক কর্তৃক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শারীরিক অমানুষিক নির্যাতন ও মারধরে মারাত্মক জখমের শিকার গৃহবধূ কাজল আক্তার (২২) বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার ( ৩০ জুন) উখিয়া থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী অফিসার নন্দ দুলাল রক্ষিত সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগ, থানায় মামলা না নিতে প্রভাবশাশী মহলের চাপ প্রয়োগ সহ বাদীকে নানা হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতেছে।
উখিয়া থানায় দায়ের কৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুর বিল গ্রামের প্রবাসী রুমু আলমের স্ত্রী কাজল আক্তার গত ২৮ জুন অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন শিকার হন।
ওই দিন তিনি বিকেলে বাড়ির নিকটবর্তী দুখালের মুখস্থ ব্রীজের নিচে বালু সংগ্রহ করতে গেলে বখাটের কবলে পড়ে। লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় যে, গৃহবধূ কাজল আক্তার বাড়িতে ব্যবহারের জন্য পার্শ্ববর্তী খালের ব্রিজের পাশে বালু আনতে গেলে একই এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকীর পুত্র লম্পট ও নারী লোভী মোস্তফার কু নজরে পড়ে। আগে থেকে উৎপাতে থাকা বখাটে যুবক একা পেয়ে গৃহবধূকে কু প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় মুখে কাপড় দিয়ে গৃহবধূর শরীরের স্পর্শকাতর ও আপত্তিকর স্থানে আঘাত সহ ধর্ষনের চেষ্টা চালায়।
পাশ্ববর্তী আবুল কাশের স্ত্রী সাবেকুন নাহার ও মৃত ঠান্ডা মিয়ার পুত্র শাহজাহান জানান, শোর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় । স্থানীয় গ্রামবাসী নির্যাতনের শিকার আহত গৃহবধূকে প্রথমে উখিয়া হাসপাতালে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ভর্তি করে।
স্বামী রুমি আলম (৩২) অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষণের চেষ্টাকারী লম্পট মুস্তাফা কে সাহসিকতার সহিত আটক করে রাখে। কিন্তু পরক্ষণে আমানত উল্লাহ সহ অন্যান্য সহযোগীরা এসে আমার স্ত্রীকে দ্বিতীয় দফা হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। স্বামী আরও জানান, বিদেশে প্রবাসকালীন সময়ে বখাটে মোস্তফা আমার স্ত্রীকে প্রায় সময় উত্যত্ত করত। এমনকি যাতায়াতের পথে তার অশালীন কটূক্তির কারণে ঘর থেকে বের হতে পারত না। স্ত্রীর মুখ থেকে এ ধরনের খবর বারংবার পেয়ে আমি অবশেষে বিদেশ থেকে চলে আসি। অত্যন্ত দুঃখজনক এখনো বখাটেদের নির্যাতনের কবল থেকে আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে স্বামী রুমু আলম বাদী হয়ে মোস্তফা ও আমানত উল্লাহ কে আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী অফিসার থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক নন্দদুলাল রক্ষিত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।