প্রকাশিত: ১৬/০৭/২০২২ ১:৩৫ পিএম

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
প্রচন্ড বৃষ্টিতে খাল-বিল থৈ থৈ করার কথা। কৃষকরা লাঙ্গল কাধে জমিতে ধান চাষে ব্যস্থ থাকার সময়। কিন্তু কৃষকেরা মাঠে নেই। চাষিরা পানির জন্যে হাহাকার করছে। তীব্র তাপদাহে জন-জীবন অতিষ্ঠ। শ্রমজীবি মানুষের মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে। একটু পর পর ঠান্ডা অনুভবের জন্য মাথায় পানি দিচ্ছে। বয়োবৃদ্ধ ও শিশুরা গরমে অস্থির হয়ে আছে। বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকেরা ক্যাম্পে ত্রীপলের ছাউনিতে এই গরমে জীবন যায় যায় অবস্থা। সরেজমিন উখিয়া স্পেশালাইজড হসপিটাল, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কোটবাজার অরিজিন হাসপাতাল, পালং জেনারেল হাসপাতাল, এমএসএফ হাসপাতাল ও অরিয়ন হাসপাতালে ডায়রিয়া, জ্বর, পেটের ব্যাথা ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ডাক্তার ফাহমিনা সুলতানা বলেছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন, অস্বস্থিকর গরমে প্রতিবছরই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে এবার বর্ষার ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং প্রচন্ড গরমের কারণে পেটের ব্যাথা, জ্বর, ডায়রিয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তাই এর প্রকোপ থেকে বাঁচতে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ার পাশাপাশি বারবার হাত ধোয়া, বাইরের বাসি খোলা খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। সরেজমিন উখিয়া স্পেশালাইজড হসপিটালে গিয়ে দেখা গেছে, উখিয়ার প্রত্য্যন্ত গ্রামাঞ্চল ও বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কিছুক্ষণ পর পর অ্যাম্বুলেন্স, সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে একের পর এক রোগী আসছে। কাউকে হাসপাতালের বিছানায় শোয়ানো হচ্ছে। কেউ বাইরে অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে জরুরি বিভাগের সামনে রোগী ওস্বজনদের ভিড় বেশি দেখা গেছে। এমএসএফ হাসপাতালে রোহিঙ্গা রোগীদের ভীড়ে আর ডায়রিয়া আক্রান্তদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা। ডাক্তার শাউন বলেন, ডায়রিয়া থেকে তাৎক্ষণিক আরোগ্য লাভ হয় না। নিয়ম মেনে খাবার স্যালাইন আর পথ্য খেলে ধীরে ধীরে ভালো হয়। তিনি বলেন, খাবার ও পানির মাধ্যমে ডায়রিয়ার জীবাণু সংক্রমিত হয়। তাই ডায়রিয়া মুক্ত থাকার জন্য বাইরের খোলা খাবার থেকে বিরত থাকার এবং পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

পাঠকের মতামত