শফিক আজাদ,উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়ায় ফায়ার বিগ্রেড ইউনিট স্থাপনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে গেলেও অভ্যান্তরিণ সমস্যার কারনে উদ্ভোধন হচ্ছে হচ্ছে না। এদিকে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩ তলা ভবনের একাধিক স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদারের লোকজন এসব ফাটলের উপর পাষ্টার করে তা জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছে। গণপুর্ত অধিদপ্তর ভবনটি নির্মানের পরেও ব্যবহার না হওয়ায় ফাটলের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে উখিয়া সদরের বটতলী এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক সংলগ্ন ফায়ার বিগ্রেডের উখিয়া ইউনিট স্থাপন নির্মানের কাজ শুরু হয়। অধিগ্রহণকৃত ৪০ শতক জলা ভূমির উপর এটির ভবন নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কক্সবাজার গণপুর্ত অধিদপ্তর ফায়ার বিগ্রেডের উখিয়া ইউনিটের ৩ তলা ভবন, বাউন্ডারী ওয়ালসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মানের তদারক করেন। রাজাপালং জাদি মুরা এলাকার বাসিন্দা এডভোকেট আবুল কালাম বলেন, জলা ভূমি ভরাট করে এর উপর ৩ তলা ভবন নির্মান করা হলেও নির্মান ক্রুটি স্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলা ভূমি বা নিচু ভরাট জমিতে অন্যান্য স্থাপনা নির্মান কালে শক্ত তেমন পাইলিং করতে দেখা যায় না। ফলে যে কেউ উক্ত ভবনের একাধিক স্থানের ফাটল গুলো দেখে নির্মান সম্পর্কে বিরুপ নানা মন্তব্য করতে দেখা গেছে। সংশিষ্ট ঠিকাদার ও ফায়ার ব্রিগেডের কেউ উখিয়ায় অবস্থান না করায় ও তাদের ঠিকানা না জানায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। গণপুর্ত অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, ভবনটির নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এটি হস্তান্তর করার জন্য ও তা বুঝে নিতে কক্সবাজার ফায়ার বিগ্রেডকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তবে উখিয়া ইউনিটে প্রয়োজনীয় জনবল ও ইকুপমেন্টের বরাদ্দে বিলম্ব হওয়ায় ভবনটি হস্তান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান। ভবনের একাধিক স্থানে ফাটল সম্পর্কে তিনি বলেন, আরসিসি কলাম, লিন্টেল, বীমের সাথে ইটের গাঁথুনির সংযোগ স্থলে কিছু কিছু স্থানে ফাটল হতে পারে। এমনিতে যে কোন ভবন যথাযথ ব্যবহার না হওয়া, রক্ষনাবেক্ষণ না থাকায় এধরণের সামান্য কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ভবন হস্তান্তরের পূর্বে এসব ক্রুটি সারিয়ে রং করে দেওয়া কথা জানান তিনি।