
শামলাপুর প্রতিনিধি::
উখিয়া উপজেলার শীর্ষ মানবপাচারকারী আবুল কালম প্রকাশ ( মোটা কালাম)কে অবশেষে আটক করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। গত ১২ মার্চ বিকাল ৩ঘটিকার সময় কোটবাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, (রিপোট লিখা পর্যন্ত ) আবুল কালাম উখিয়া থানায় পুলিশ হেফাযতে রয়েছে। আবুল কালাম স্থানীয় উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নের ছেপটখালী গ্রামের মৃত মাষ্টার শরীফ মোহাম্মদের পুত্র ও উপকূলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত আসামী। জানা যায়, কক্সবাজার উপকূলের সিংহভাগ মানুষ মালেশিয়া পাচার করেছে মোটা কালামের সিন্ডিকেটটি। সিন্ডিকেটে আরো রয়েছে স্থানীয় মৃত এরশাদুর রহমান সিকদারের পুত্র ফয়েজ আহাম্মদ, রেবি ম্যাডাম, কালা জমির, বেলাল সহ আরো কয়েকজন পাচারকারী। এলাকায় তাদের রয়েছে কোটি-কোটি টাকার সম্পদ। খুব অল্প দিনে আঙ্গুল ফুলে কালাগাছে পরিণত হয়েছে তারা। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, তালিকাভূক্ত আসামীরা মামলার আইও কে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তাদের নামীয় স্থানীয় নিরীহ ব্যক্তিদের মামলার চার্জশীটে নাম তোলান। আটককৃত তালিকাভূক্ত আসামী আবুল কালাম তার মামলার চার্জশীটে তার নামের স্থলে স্থানীয় ছেপটখালী গ্রামের জাফর আহাম্মদের পুত্র নিরীহ আরেক আবুল কালাম এর নাম সংযুক্ত করায়। গত ৬ ফেব্্রুয়ারী নিরীহ আবুল কালামকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ২২দিন মিথ্যা মামলায় কারাভোগের পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারী জামিনে মুক্ত হন নিরীহ আবুল কালাম। কিছু অসাধু ও অর্থ পিপাসু মামলার আইওর কারণে ছাড়া পাচ্ছে অপরাধী রাঘব বোয়ালেরা আর ফেঁসে যাচ্ছে নিরীহ মানুষ এমনটি ধারণা করেন মিথ্যা মামলায় জড়ানো ভূক্তভোগিরা। সঠিক তদন্তভিত্তিক মানবপাচারের তালিকাভূক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নিতে উপকূলবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পাঠকের মতামত