প্রকাশিত: ১৫/০৮/২০২১ ৫:২০ পিএম

শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।
করোনাকালের সংকটের মধ্যেও বেসরকারি চাকরিজীবীরা কমবেশি বেতন-বোনাস পাচ্ছেন। নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে আর্থিক প্রণোদনাও পেয়েছেন। কিন্তু কক্সবাজারের উখিয়ার কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারীদের খবর কেউ রাখেনি।

এ দুর্যোগের সময়ে আর্থিক কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এমন দুর্দশায় পড়েছেন উখিয়া কিন্ডারগার্টেনের হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।

করোনা প্রতিরোধে সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো উখিয়াতে বন্ধ রয়েছে কিন্ডারগার্টেন ও নার্সারি স্কুল।

এতে বেকার হয়ে পড়েছেন উখিয়া উপজেলার কিন্ডারগার্টেনের হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী।দেড় বছর ধরে বেতন-বোনাস পাচ্ছেন না তারা। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনিশ্চিত জীবন পার করছেন। অন্যদিকে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

মূলত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির টাকায় এসব স্কুলের ভাড়া, শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মেটানো হয়। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে স্কুল বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা টিউশন ফি দিচ্ছেন না। ফলে অধিকাংশ স্কুলে গত বছর মার্চ থেকে শিক্ষকদের বেতন-বোনাস বন্ধ হয়ে গেছে।

উখিয়া গ্রীন বাড কিন্ডারগার্টেন অধ্যক্ষ স্বপন বড়ুয়া বলেন, করোনার থাবায় সব শেষ হয়ে গেছে। করোনায় স্কুল বন্ধের আগে ১০ শিক্ষক, ৫ জন কর্মচারী ছিল। চলতি বছরে কাউকে আর বেতন দেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০২০ইং সালের ১৫ মার্চ থেকে আমরা সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী স্কুল বন্ধ রাখি।
এখনো পযর্ন্ত কেমন আছি কিভাবে আজ স্কুল চালাচ্ছি কেউ আমাদের খবর নেননি।

অতীতের যে শিক্ষক কর্মচারী ছিল তাঁরা আজও স্কুল খোলার আশায় রয়েছেন।

কিন্ডারগার্টেনের এসব শিক্ষক খুবই সামান্য বেতন পেলেও প্রাইভেট-টিউশনি করে সংসার চালাতেন। করোনার কারণে সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে।

ধারদেনা করে কিছুদিন চললেও এখন অনেকের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী পেশা বদল করেছেন।

পাঠকের মতামত