কক্সবাজার জেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও কুখ্যাত মাদক সম্রাট মো. তাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ ও ৬৪ বিজিবির যৌথ দল।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে পূর্ব মরিচ্যা এলাকার মৃত সেহের আলীর ছেলে ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি এবং জেলা তাতীদলের সভাপতি ডা. নাসির উদ্দিনের ছোট ভাই।
র্যাব জানায়, তাজ উদ্দিন এন্টি-নারকোটিকস টাস্কফোর্স কর্তৃক ঘোষিত কক্সবাজার জেলার অন্যতম শীর্ষ মাদক কারবারি। দীর্ঘদিন ধরে সে সীমান্তবর্তী এলাকায় ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল।
স্থানীয় সূত্রে ও জনমত থেকে জানা গেছে, তাজ উদ্দিন এর আগেও একাধিকবার ইয়াবাসহ পুলিশের ও র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন এবং জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, তিনি স্থানীয় পর্যায়ের যুবদলের নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল এবং রাজনৈতিক প্রভাব গঠন, কিছু নেতা ও সাংবাদিকদের অর্থ দিয়ে প্রভাব বিস্তারসহ মরিচ্যা বাজার উচ্চ মূল্যে ইজারা নেওয়ার পেছনে তার অবৈধ টাকার মালিকানার আশংকা ও লোকমুখে বিষয়টি চাউর আছে। এছাড়াও তারা আরও দাবি করেছেন, তাজ উদ্দিন কৌশলে বা দলীয়ভাবে প্রভাববলে মিটিং ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে কালো টাকায় অংশগ্রহণ ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে সামনের সারিতে থাকতেন। যা দলের নৈতিকতা ও এলাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক বলেন, “মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে র্যাবের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে। সীমান্ত এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে এবং চলবে।”
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সচেতন মহল দাবী জানিয়েছেন, তাজ উদ্দিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তার ইয়াবা সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার দাবি ও তাকে দল থেকে বহিষ্কার এবং দলের অভ্যন্তর থেকে মাদক সংশ্লিষ্ট সদস্যদের শনাক্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
উল্লেখ্য, তালিকাভুক্ত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতেও মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা হবে।