২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় “ভিজিডি” (ভিডব্লিউবি) চক্রে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করতে আসা উখিয়া ও টেকনাফের হাজার হাজার হতদরিদ্র নারী বর্তমানে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। আবেদন প্রক্রিয়ার শেষ দিনে এসে কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে সরকারি ওয়েবসাইট।
এতে ভোর থেকে রোদে-পুড়ে অপেক্ষা করে শেষে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে আবেদনকারীদের। রবিবার (১১ মে) সকাল থেকে রাজাপালং ইউনিয়নসহ উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়নে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। শত শত নারী, তাদের স্বজনসহ ছুটে এসেছেন বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান ও ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করতে। কিন্তু সার্ভার সমস্যার কারণে কোনোক্রমেই অনলাইন আবেদন সম্ভব হচ্ছে না। রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ ওসমান বলেন, “ভিডব্লিউবি আবেদনের জন্য সার্ভারে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
এই সমস্যা কেন্দ্রীয়ভাবে হচ্ছে। ফলে আমরা আবেদন নিতে পারছি না। তবে জন্মনিবন্ধনের কাজ চালু রয়েছে। স্থানীয় জসিম কম্পিউটার-এর মালিক জসিম উদ্দিন জানান, সকাল থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ এসে ভিড় করছেন। আমরা সার্ভারে প্রবেশের বহু চেষ্টা করেছি কিন্তু সম্ভব হয়নি। মানুষকে সেবা দিতে না পারায় খুবই খারাপ লাগছে। এবং আমাদের ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে।
ভুক্তভোগী মরিয়ম বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বলেছে চাল পেতে হলে ভিডিওবি আবেদন করতে হবে। পাঁচ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি, কিছুই করতে পারিনি। এখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। একই অভিযোগ আনোয়ারা বেগমেরও। তিনি বলেন, গতকাল থেকেও আবেদন করার চেষ্টা করছি।
আজ শুনলাম শেষ দিন। কিন্তু সার্ভার কাজ না করায় আবেদন করা যাচ্ছে না। এখন বুঝতেছি না আমরা কীভাবে চাল পাব। হতাশা আর ক্ষোভের মধ্যে আবেদনকারীদের একটাই দাবি—সরকার যেন দ্রুত সার্ভার সমস্যা সমাধান করে আবেদন গ্রহণের সময়সীমা আরও কয়েকদিন বাড়ায়, যাতে কেউ এ গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন। উল্লেখ্য, ভিজিডি বা ভিডব্লিউবি কর্মসূচি দেশের দরিদ্র নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা ও আত্মনির্ভরশীলতা নিশ্চিত করতে সরকার পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যেখানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করা না গেলে সুবিধা পাওয়া যায় না।