ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৩/০৫/২০২৩ ৭:৩১ এএম , আপডেট: ০৩/০৫/২০২৩ ৭:৩৩ এএম

শাহেদ ফেরদৌস হিরু, কক্সবাজার ::

কক্সবাজার উখিয়া কোট বাজারে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের নামে সরকারি জমি বন্দোবস্ত নিয়ে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করে ব্যাবসা পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে উখিয়া রত্নাপালং শহীদ এ.টি.এম জাফর আলম স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদকের নামে ২১১/১৬ নাম্বার দলিলের মাধ্যমে ৪৭৩৪ খতিয়ান মূলে বি.এস ২৭৬ দাগে ৪ শতক জমি বন্দোবস্ত দেয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক। যার বন্দোবস্ত মামলা নাম্বার ০২/২০১৫-২০১৬।

সরেজমিনে দেখা যায়, বয়স্ক কেন্দ্র স্থাপনের শর্তে ৪ শতক জমি বন্দোবস্ত নেয়া হলেও ৬ শতক জমি দখল করে সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৪ তলা ভবন । ভবনের নীচ তলায় করা হয়ছে ১৩টি দোকান, দ্বিতীয় তলায় বিশাল শো-রুম স্পেস, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় কাজ চলমান রয়েছে। নীচ তলার দোকানগুলো বিভিন্ন জনকে বরাদ্দ দিয়ে প্রায় কোটি টাকা নিয়েছেন শহীদ এ.টি.এম জাফর আলম স্মৃতি সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম ও তার ভাইসহ একটি প্রভাবশালী মহল। দ্বিতীয় তলা পুরোটাই ১৫ লাখ টাকা দিয়ে বরাদ্দ দেওয়ার কথা চালাচ্ছেন কয়েকজন ব্যাবসায়ীর সাথে।

স্থানীয়রা জানান, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য শহীদ এ.টি.এম জাফর আলম স্মৃতি সংসদকে সরকার জমি দেওয়ার সাত বছর পার হলেও শুরু হয়নি শিক্ষা কার্যক্রম। বরং সেখানে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান বরাদ্দ দিয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করছে প্রভাবশালী একটি মহল। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেট পরিচালনাকারীরা স্থানীয় এক প্রভাবশালীর ভাই হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলছেন না কেউ। প্রশাসনও নির্বিকার। এমতাবস্থায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।

কয়েকজন ব্যাবসায়ী জানান, তারা শহীদ এ.টি.এম জাফর আলম স্মৃতি সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম ও তার ভাইয়ের কাছ থেকে কেউ ৬ লাখ কেউ ৮ লাখ টাকা জামানত দিয়ে প্রতিমাসে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় দোকান ভাড়া নেন। তারা সেখানে সবজি ও মুদির দোকানের ব্যাবসা পরিচালনা করছেন।

যদিও প্রশাসন বলছে, যে জায়গাটি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে সেখানে শুধু বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র করা যাবে। অন্য কিছু করা যাবে না। চুক্তিপত্র অনুযায়ী বন্দোবস্তের শর্ত ভঙ্গ বা অমান্য করলে উক্ত বন্দোবস্ত বাতিল হবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ এ.টি.এম জাফর আলম স্মৃতি সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে ফোন কেটে দেন তিনি।

জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ জানান, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রের নামে যদি কেউ মার্কেট নির্মাণ করে তাহলে জেলা প্রশাসক অবশ্যই বন্দোবস্ত বাতিল করতে পারবেন। আমি বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখব। এবং জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করব বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব জানান, এ বিষয়ে আমার সঠিক জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রের নামে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান বরাদ্দের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খোজ নিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি

পাঠকের মতামত