কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম পাইন্যাশিয়া এলাকায় বসতবাড়ি ও দোকানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত দুজন আহত হয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় বার্মাইয়া কামালের ছেলে ছাবেরের সঙ্গে একই এলাকার মৃত ছৈয়দ আলমের ছেলে নুরুল হকের কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে পরদিন শুক্রবার সকালে ছাবের ও তার অনুসারীরা নুরুল হকের বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেনের বসতবাড়ি ও দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়। দোকানে থাকা নগদ ১১ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক মোহাম্মদ হোসেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ হোসেনের মা রোজিনা বেগম (৬০) জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ছাবের, সাইফুল ও বাদুল্লা মিলে বিভিন্ন সময় বসতভিটা দখলের চেষ্টা করে আসছিল। সম্প্রতি দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া, নিদানিয়া ও সমিতিঘোনা এলাকা থেকে ভাড়াটিয়া এনে তারা হামলা চালায়। হামলায় বাধা দিতে গেলে মোহাম্মদ হোসেনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও ছোট ছেলে নুরুল হক গুরুতর আহত হন।
আহত নুরুল হক জানান, তিনি স্থানীয় একজনের কাছে পাওনা ১৪ হাজার টাকা চাইতে গেলে ছাবের তাতে অযথা হস্তক্ষেপ করে এবং তর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে ছাবের তাকে মারধর করে এবং পরে দলবল নিয়ে হামলা চালায়। হামলার সময় তার ভাবি সেলিনা আক্তারকে শ্লীলতাহানির পাশাপাশি লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। পরিবারের সদস্যরা আহত দুজনকে প্রথমে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সেলিনা আক্তারকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হোসেন জানান, তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ২৭ জুন উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু ২৯ জুন রবিবার পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় তিনি হতাশ। তার দাবি, আমরা অসহায় মানুষ। পুলিশ যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবে আমাদের পুরো পরিবারকে। আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)-এর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।