উখিয়া নিউজ ডটকম
প্রকাশিত: ৩১/০৩/২০২৩ ৯:৫৫ এএম

কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কাটার সময় মাটি ধসে ৩ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হওয়ার জের ধরে পৃথক ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহতদের একজনের পিতা বাদি হয়ে দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে বন আদালতে বনবিভাগের দায়ের করা ২ টি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯ জনকে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকালে উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, বুধবার রাতে নিহত ৩ জনের মধ্যে ১৭ নম্বর ক্যাম্পের নুর কবিরের পিতা সুলতান আহমেদ বাদি হয়ে ৮ জনের নামে উল্লেখ করে ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিদের নাম ঠিকানা প্রকাশে রাজী হননি তিনি।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজি মো. শফিউল আজম জানান, বুধবার এ মামলা ২ টি দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তা সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে। বনবিভাগের দায়ের করা ২ টি মামলার বাদি উখিয়ার বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান। বন আইনে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের অভিযোগে এ ২ টি মামলার দায়ের করা হয়।
যার একটি আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। এরা হলেন, উখিয়ার মুহুরী পাড়ার আলী আহমদের ছেলে নেচার আহমদ (৫০), মধুরছড়ার মীর আহমদের ছেলে মো. আলম (৩৮), শীলের ছড়ার মৃত আবুল বলির ছেলে নুর মোহাম্মদ বলি (৩৬), একই এলাকার মৃত আবদুল গণির ছেলে আবদুল জব্বার (৪৫), মাসকারীয়া পাড়ার কাসেম আলীর ছেলে নুরু মাঝি (৫০), মুহুরী পাড়ার মৃত বসু উল্লাহর ছেলে আবদুল মান্নান (৫৭)।

অপর মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩ জনকে। এরা হলেন, মুহুরী পাড়ার মৃত বসু উল্লাহর ছেলে আবদুল মান্নান (৫৭), শীলের ছড়ার মৃত আবদুল গণির ছেলে আবদুল জব্বার (৪৫), মাসকারীয়া পাড়ার কাসেম আলীর ছেলে নুরু মাঝি (৫০)।
বুধবার ভোরে উখিয়া সদরের মুহুরি পাড়া এলাকায় পাহাড় কর্তনকালে মাটি চাপায় নিহত হন উখিয়ার ১৪ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল মোতালেবের ছেলে জাহেদ হোসেন (২২), ১৭ নম্বর ক্যাম্পের সুলতান আহমেদের ছেলে নুর কবির (৩০), ১৯ নম্বর ক্যাম্পের মিন্টু হোসেনের ছেলে সৈয়দ আকবার (৩৩)।

পাঠকের মতামত

উখিয়ার থাইংখালীর আলাউদ্দিন ও ছাত্তার সিন্ডিকেটের মাটিভর্তি ডাম্পার জব্দ

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী গৌজঘোনা এলাকায় রাতের আঁধারে পাহাড় সাবাড় করছে মো. আলাউদ্দিন ও ...