কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া
উখিয়ায় সাংবাদিক এম,শাহজালাল রানার ছোট বোনের স্বামী নুরুল আলমকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা বেঁধে মধ্যেপযোগী কায়দায় লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিঠিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াসের বিরুদ্ধে।এসময় ঘর সংস্কার করার জন্য পকেটে থাকা নগদ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা ও ১৪ হাজার টাকা দামের একটি ভিভো ফোন কেড়ে নিয়ে ফেলে।
এসময় স্থানীয়রা খবর পেয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় নুরুল আলমকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সোমবার(৩ নভেম্বর) বিকাল ৩ টার দিকে উখিয়া থানাধীন রাজাপালং ইউনিয়নের আমগাছ তলা এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় নুরুল আলম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন,মুহুরী পাড়া আমগাছ তলা এলাকার
নাজু হাওলাদারের ছেলে মোহাম্মদ কাশেম(৪৫),ইলিয়াস সওদাগর (৫৫)ও ফলিয়াপাড়া এলাকার শামশুল আলমের ছেলে কামাল উদ্দিন (৪৩)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিকাল ৩ টার দিকে নুরুল আলমের স্ত্রী বাড়িতে না থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ কাশেম,৫/৬ জন অজ্ঞাত লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে নুরুল আলমের শশুর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক টমটম গাড়িতে করে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াস সওদাগরের বাড়ির অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
আহত নুরুল আলম কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান,ইলিয়াস সওদাগর,মোহাম্মদ কাশেম, কামাল উদ্দিন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে আমার দুই হাত,দুই পা রশি ও কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে। হঠাৎ মোহাম্মদ কাশেম হত্যার উদ্দেশ্যে আমার অন্ডকোষে লাথি মেরে ফুলা জখম করে।অন্য বিবাদীরা পালাক্রমে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।এসময় আমি শোরচিৎকার দিলে ইলিয়াস আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ হত্যার চেষ্টা করে।আমার ঘর সংস্কার করার জন্য পকেটে থাকা নগদ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা ও ১৪ হাজার টাকার দামের একটি ফোন চিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জিয়াউল হক জানান,এই ঘটনায় নুরুল আলম বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এএসআই রিপন চৌধুরীকে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত পূর্বক আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।