প্রকাশিত: ২৬/০৫/২০২২ ৫:৪৬ পিএম

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
৬ হাজার শত পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের দায়ে হাফেজ উল্লাহ (৫০) নামক একজন ইয়াবাকারবারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড ও অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই মামলায় ২ হাজার ৮০০ পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের দায়ে ওসমান গনি নামক এক রোহিঙ্গাকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৪০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন সিবিএন-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো : ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর বিকেল ৪ টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার হিলটপ হোটেলের সামনে রাস্তায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিনের কোনার পাড়ার মৃত মোহাম্মদ হোছাইন ও মরিয়ম খাতুনের পুত্র হাফেজ উল্লাহ (৫০) এবং মিয়ানমারের আকিয়াব এর চামতলীর আনু মিয়া ও ফরিদা খাতুনের পুত্র ওসমান গনি (৩৫) আটক করে। পরে আটককৃত হাফেজ উল্লাহ’র কাছ থেকে ৬ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট এবং রোহিঙ্গা ওসমান গনি’র কাছ থেকে ২ হাজার ৮০০ পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ অস্থায়ী সার্কেলের উপ পরিদর্শক মোঃ নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে ধৃত ইয়াবাকারবারীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একইদিন টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ২৮/২০১৯ ইংরেজি। জিআর মামলা নম্বর : ৮৬৮/২০১৯ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর : ৫৬০/২০২১ ইংরেজি।

মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারের জন্য মামলাটির চার্জ গঠন করেন। মামলাটিতে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তাদেরকে আসামী পক্ষে জেরা করা হয়। মামলায় আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান, উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সহ সব বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০ (গ) ধারায় আসামী হাফেজ উল্লাহ এবং একই আইনের (খ) ধারায় আসামী রোহিঙ্গা ওসমান গনিকে উপরোক্ত সাজা প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামী হাফেজ উল্লাহ গ্রেপ্তার হাওয়ার ১ বছর ১ মাস পর ৫০৬৯/২০২০ নম্বর ফৌজদারী মিচ মামলা মূলে ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। জামিন পাওয়ার পর থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাফেজ উল্লাহ পলাতক রয়েছে। অপর আসামী রোহিঙ্গা ওসমান গনি রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রায় দেওয়া এটি প্রথম মামলা। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন-অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট রনজিত দাশ

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...