ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০১/০৫/২০২৩ ৯:১৮ এএম

কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাট এলাকায় ট্রলার থেকে সাড়ে চার লাখ এবং বাড়ি থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ট্রলার মালিক সুলতান আহমদকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা ও ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছর সাজা দেয়া হয়।

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় দেন। একই সঙ্গে মামলার আরও ৮ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর কারাদণ্ড, নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

ট্রলার মালিক সুলতান আহামদ শহরের রুমালিয়ারছড়া পিটি স্কুল এলাকার মো. আবু বকরের ছেলে। দণ্ডিত অন্যান্য আসামিরা হলেন, লক্ষীপুর রামগতি ৫নং ওয়ার্ডের আলেকজান্ডার (রুস্তম আলী মিত্রিবাড়ী) বাসিন্দা আবদুল মতলবের ছেলে আবদুর রউফ, রংপুর মিঠাপুকুরের বৈরাতিহাট সুজন গয়েশপুর, (বর্তমানে ইমাদপুর পশ্চিম পাড়া নামে পরিচিত) এলাকার বাসিন্দা আবদুল গফুরের ছেলে মো. আ. রাজ্জাক মিয়া, খাগড়াছড়ি রামগড় শালবাগান এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান,মিয়ানমারের আকিয়াবের রাচিডং রাজারবিল এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. হাবিবুল্লাহ, মংডু বুচিডং মুন্নিপাড়ার মো. আবদুল্লাহর ছেলে জাহিদ হোসেন, মৃত নুর বশরের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর, সৈয়দ হোসেনের ছেলে মো.আবদুল হামিদ ও আবদুল রাজ্জাকের ছেলে মো. ওসমান গনি। রায় ঘোষণাকালে সকল আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি শহরের মাঝির ঘাট এলাকায় সুলতান আহমদের ট্রলার থেকে সাড়ে চার লক্ষ ইয়াবা উদ্ধার করে র‍্যাব। এসময় ওই ট্রলারে থাকা ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে সুলতান আহমদের বাড়ি থেকে আরও ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় সুস্পষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে ৯ জনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে আদালত।

পিপি ফরিদ বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এর ২১ ধারাসহ ১৯ (১) ধারার টেবিল ৯ (খ) ক্রমিক বর্ণিত শাস্তিযোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রলার মালিককে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি ৮ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর কারাদণ্ড, নগদ এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছর পরে কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না।

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...