উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১/০২/২০২৪ ৭:৪৩ এএম

কক্সবাজারের প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে ইনানীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এমভি বারো আউলিয়া’ ইঞ্জিন বিকল হয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসছিল। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটায় জাহাজটি সেন্ট মার্টিন জেটিঘাট থেকে ছেড়ে আসার ৪৫ মিনিট পর বিকল হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে ত্রুটি সারিয়ে জাহাজটি ইনানীর উদ্দেশে আবার যাত্রা করে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. ইয়ামিন হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ইঞ্জিনের পাইপে পানি ঢুকে পড়ায় জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পাইপটি পরিষ্কার করার পর জাহাজটি আবার চালু করা হয়েছে। এখন ইনানীর উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

এমভি বারো আউলিয়া জাহাজে সেন্ট মার্টিন থেকে ফিরছিলেন ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা এক স্কুলশিক্ষিকা। মুঠোফোনে তিনি জানান, বিকেল চারটার দিকে সেন্ট মার্টিন জেটি থেকে জাহাজটি ইনানীর উদ্দেশে যাত্রা করে। ৪৫ মিনিট পর জাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। প্রায় দেড় হাজার যাত্রী নিয়ে জাহাজটি সাগরে ভাসছিল। যাত্রীদের আতঙ্কিত না হতে বারবার মাইকিং করা হচ্ছিল। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে জাহাজটি আবার চালু হয়। সব মিলিয়ে ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট বন্ধ অবস্থায় সাগরে ভেসে ছিল। এরপর ইনানীর দিকে ছেড়ে আসে। জাহাজে যাত্রীদের অনেক ভিড় ছিল বলে তিনি জানান।

বারো আউলিয়া জাহাজের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ধরেননি। তবে জাহাজের পরিচালক হোসাইনুল ইসলাম ইঞ্জিন বিকলের বিষয়টি মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘জাহাজের ইঞ্জিন বিকলের বিষয়টি সত্য নয়, জাহাজ এক মিনিটের জন্যও বন্ধ ছিল না। তবে জাহাজে থাকা তেল ও পানি একসঙ্গে মিশে যাওয়ায় আতঙ্কে যাত্রীরা হইচই করেছেন।’

মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরপর সেন্ট মার্টিন-ইনানী নৌপথ ব্যবহার করে পর্যটক পরিবহন করে আসছে বারো আউলিয়া। এ ছাড়া জাহাজটিতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের অভিযোগও উঠেছে। জাহাজটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ৮৫০ জনের হলেও দেড় হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ নদীবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন শীল এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। ওই এলাকা দিয়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও তিনি জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজটি গায়ের জোরে চালানো হচ্ছে। এখানে বিআইডব্লিউটিএর কোনো লোক নেই। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে গেলেও তাঁদের কিছু বলার কেউ নেই। কয়েক দিন আগেও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল জাহাজ কর্তৃপক্ষকে।

সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটের ইজারাদারের উসুল আদায়কারী মো. শোয়াব বলেন, সেন্ট মার্টিন থেকে ছেড়ে আসার পথে ইঞ্জিনের পাইপে পানি ঢুকে পড়ায় জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেটি পরিষ্কার করা হয়। তিনি বলেন, সরকারি ছুটির চাপ থাকায় কিছু অতিরিক্ত যাত্রী হয়েছে

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ইউনাইটেড নেশন টিম

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউনাইটেড নেশন ফোরাম বাংলাদেশ স্টাডি প্রোগ্রাম (BSP) এর ...

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ধর্ম ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ

কক্সবাজারে বাল্যবিবাহ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো “বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয়” শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় নেতৃবৃন্দের ...

বাংলাদেশি পাসপোর্টে রোহিঙ্গা সুন্দরী তৈয়বার মালয়েশিয়ায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’

১৯৯৭ সালে মিয়ানমারের মংডু থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় ...