মিয়ানমারের জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে বাংলাদেশ সীমান্তে সশস্ত্র গ্রুপের মুভমেন্ট বেড়েছে জানিয়ে বিষয়টিকে স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করেছে সেনাবাহিনী।
ব্রিফিংয়ে ব্রি. জেনারেল মো. নাজিম উদ দৌলা বলেন, আমরা অবশ্যই সীমান্তে কম্প্রোমাইজ করিনি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের গায়ে বিন্দুমাত্র শক্তি থাকবে, আমরা কখনো কম্প্রোমাইজ করবো না। এটা আমাদের দেশ এবং আমরা যেকোনো মূল্যে এটি রক্ষা করবো। এদেশের সার্বভৌমত্ব কখনোই কোনো একটা সম্প্রদায়ের মাধ্যমে নষ্ট হতে দেয়া হবে না।
আরসা অস্ত্র নিয়ে আসছে, সীমান্তে মুভমেন্ট করছে, এ বিষয়ে অবস্থান জানাতে গিয়ে ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির মুখে আছে। সেখানে মিয়ানমারের যে সরকার সেই সরকারের অস্তিত্ব বিলীনের পথে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্য প্রায় দখলে নিয়েছে। আরাকান আর্মিও তো কোনো অথরাইজড সংগঠন নয়। এই জায়গাটাতে না আছে সরকারের অস্তিত্ব, না আছে আরাকান আর্মিকে স্বীকৃতি দেয়ার মতো কোনো অবস্থা। এই অবস্থায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার নিঃসন্দেহে যেকোনো সময়ের তুলনায় সংবেদনশীল। এই অবস্থায় কিছু সশস্ত্র গ্রুপের মুভমেন্ট অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা এটাকে দেখেও না দেখার ভান করবো।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সক্রিয় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ), যা বম পার্টি নামেও পরিচিত। এই সংগঠনের সদস্যদের পোশাক উদ্ধারের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কুকি চীনের (কেএনএফ) ৩০ হাজার পোশাক পাওয়া গেছে, এটা সামাজিক মাধ্যমে এসেছে; এটা বস্তুনিষ্ঠ। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি। খুঁজে দেখার কাজ করছি। বম সম্প্রদায়ের মানুষই আছে ১২,০০০। তাই এই ৩০,০০০ পোশাক এই সংগঠনেরই কিনা তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
এ সময় লালমনিরহাটের বিমানবন্দর প্রয়োজনের নিরিখে নতুন করে সচল করা হচ্ছে জানিয়ে বলা হয়, চীন এই বিমানবন্দর ব্যবহার করবে কি না বা কবে করবে, এই বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। এটুকু আশ্বস্ত করা যায়, দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়, এরকম কোনো কর্মকাণ্ডে কোনো দেশকে অনুমতি দেয়া বা সম্পৃক্ত করার বিষয়ে নিশ্চয়ই সরকার ভেবে দেখবে।