উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭/০৩/২০২৩ ৮:১৭ পিএম

আমার বান্ধবী শিখা সকাল ৮টায় আমাকে ফোন করে বলেছে, বান্ধবী তুই ৯টার দিকে মসজিদ মার্কেটে থাকিস। সেখান থেকে একত্রে কলেজে যামু। একটি রিকশা দিয়ে আমি ও নুসরাত মসজিদ মার্কেট পর্যন্ত যাই। গিয়ে সেখানে তাকে দেখতে পাইনি। কিছুক্ষণ পর ঝুমুর আমাকে কল করে বলে, সোনিয়া, তোর বান্ধবী শিখা আর রিমা এক্সিডেন্ট করে মারা গেছে, তুই তাড়াতাড়ি বজলু মামার দোকানের সামনে আয়। আমি বাংলাবাজার থেকে একটি অটোরিকশা নিয়ে বজলু মামার দোকানের সামনে গিয়ে দেখি আমার বান্ধবীর লাশের টুকরা রাস্তায় পড়ে আছে। মানুষজন তাকে ঘিরে রেখেছে।

এভাবেই ঢাকা মেইলের কাছে অশ্রুসিক্ত চোখে বান্ধবী শিখা ও রিমার মৃত্যুর খবর জানাচ্ছিলেন তাদের বান্ধবী সোনিয়া আক্তার। শিখা ও রিমা সোনিয়ার বেস্টফ্রেন্ড ছিল।

সোনিয়া আরও বলেন, প্রথমে আমি আমার বান্ধবীর লাশ দেখে চিনতে পারিনি। তার মুখমন্ডল, পেট ও হাত-পা সবকিছু আলাদা হয়ে গেছে। আমার বান্ধবীর পায়ে যে নুপুর ছিল, সেটা দেখে আমি লাশ শনাক্ত করেছি। ওই নুপুর আমি আমার বান্ধবীকে দিয়েছিলাম। একটু সামনে গিয়ে দেখি রিমাও রাস্তায় পড়ে আছে। রিমা আর শিখা একই বাড়ির। তাই তারা দুজন একত্রে কলেজে আসা-যাওয়া করত। শিখা পড়ালেখায় খুব ভালো ছিল। আগামী সপ্তাহে আমাদের তিনজনের ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল। আমরা তিনজন একত্রে চলাফেরা করতাম। কিন্তু এখন আমার বান্ধবীরা আমাকে রেখে চলে গেল। তাদের এমন মৃত্যু দেখতে হবে তা কোনোদিন ভাবিনি। আমি আমার কলিজার বান্ধবী দুইটাকে হারালাম।

ভোলায় শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে কলেজের আলোচনা সভায় যুক্ত হতে বাড়ি থেকে বের হয়ে অটোরিকশাযোগে কলেজে যাওয়ার পথে বাস চাপায় শিখা ও রিমার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাদের বহন করা অটোরিকশা চালকসহ মোট ৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

শিখা ও রিমা ভোলার দৌলতখান উপজেলার হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের দুজনের বাড়ি ওই উপজেলার মধ্য জয়নগর গ্রামে।

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...