উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯/০৬/২০২৩ ৮:১৮ পিএম

কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য যেন থামছেই না। এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিওবার্তায় নিজের বাবাকে ‘কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু’ দাবি করলেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিবের পদ থেকে বহিষ্কৃত কায়সারুল হক জুয়েল।

Google News গুগল নিউজে প্রতিদিনের বাংলাদেশ’র খবর পড়তে ফলো করুন

কক্সবাজারের এক সভায় ৫ জুন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব-উল আলম হানিফের একটি বক্তব্যের উত্তরে জুয়েল এমন দাবি করেন।

কক্সবাজারের সভায় হানিফ বলেছিলেন, পিতার পরিচয়ে আওয়ামী লীগে রাজনীতি করার সময় শেষ। পিতা ত্যাগী এবং দলের পরীক্ষিত নেতা হতে পারেন। তাই বলে তার সন্তানরা সুযোগ-সুবিধা পাবে এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না। শেখ হাসিনার কাছে পিতা যেমন পরীক্ষিত নেতা ছিলেন তার সন্তানরাও যেন পরীক্ষিত হন, এটা মূল্যায়ন করেন।

হানিফের ওই বক্তব্যের উত্তরে ৭ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তা দেন জুয়েল। ভিডিওটিতে জুয়েল বলেন, ‘আমার বাবা মরহুম একেএম মোজাম্মেল হক কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর পরিচয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী পরিচিত হতে পারলে আমরা কেন বাবার পরিচয়ে রাজনীতি করব না। আমরা পদ-পদবি চাই না।’

এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কায়সারুল হক জুয়েলের দেওয়া বক্তব্য শুধু শিষ্টাচারবর্জিতই নয়, তা চরম ধৃষ্টতা ও অমার্জনীয় অপরাধও বটে। প্রয়াত জননেতা একেএম মোজাম্মেল হকের আওয়ামী লীগের জন্য শ্রম ও ত্যাগের বিষয়টি স্মরণযোগ্য বটে, কিন্তু তাকে জাতির পিতার সঙ্গে তুলনা করাটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। জুয়েল তার বক্তব্যে তার পিতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর তুলনা করে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সব মানুষের আবেগকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করেছেন।

বিবৃতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অন্তঃসারশূন্য, হিতাহিত জ্ঞানহীন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

আগামী সোমবার (১২ জুন) কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন দুজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মরহুম একেএম মোজাম্মেল হকের ছেলে মাসেদুল হক রাশেদ।

রাশেদ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কার হয়েছেন। রাশেদের ছোট ভাই জুয়েল কক্সবাজার সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি সর্বশেষ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিবের পদ থেকে বহিষ্কার হন। তাদের বোন জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী তাহমিনা চৌধুরী লুনা। তিনি পদত্যাগ করেছেন। তাদের আরেক ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল। জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার হন। আরেক (মেঝ) ভাই শাহিদুল ইসলাম সোহেল জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

এই নির্বাচনের শুরুতে কক্সবাজারের স্থানীয়-বহিরাগত ইস্যু, মরহুম বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, স্বেচ্ছায় নৌকার পক্ষে এক চেয়ারম্যানের ভোট ডাকাতির স্বীকারোক্তি, আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণ করে বক্তব্য প্রদান চলে আসছে। সুত্র : প্রতিদিনের বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারে সংঘাত/টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকল আরও ৯ বিজিপি সদস্য

মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ...