উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯/১২/২০২২ ৮:২৬ এএম

দেহ ব্যবসা ও অনৈতিক কাজের অভিযোগে ২টি আবাসিক হোটেল থেকে স্টাফ ও নারী-পুরুষসসহ ৩৩ জনকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলায়। স্থানীয় জাগুড়ঝুলির বৈশাখী হোটেল ও রাজধানী হোটেল থেকে স্টাফদেরও আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে ডিবি পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে। আর বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় হোটেল মালিক শান্ত, ম্যানেজার মিন্টুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচাঁর আইনে মামলা হয়েছে। হোটেল মালিক জসিম উদ্দিন শান্ত পলাতক রয়েছেন।

এ ঘটনায় ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদেরকে বাধ্য করে পতিতাবৃত্তি ব্যবসায় আনা হয়েছিল। আটককৃতদের মধ্যে হোটেল স্টাফ ৭ জন আটক হয়েছেন।

হোটেল মালিক জসিম উদ্দিন শান্ত কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহবাদ ইউনিয়নের নওয়াবগঞ্জ উত্তরপাড়া এলাকার মাওলানা আলী আশরাফের বাড়ির ছায়েদ আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, হোটেল মালিক শান্ত দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মেয়ে এনে পতিতাবৃত্তি ব্যবসা করে আসছে। আবার অনেককে জিম্মি করেও এ ব্যবসায়ও রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন খদ্দের থেকে দেড় হাজার, ১ হাজার ও ৫ শত টাকার বিনিময়ে এ ব্যবসা করাচ্ছেন এই শান্ত এমন অভিযোগও রয়েছে।

আরও জানানো হয়, শান্তর রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। বড় বড় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদদের নামে বিভিন্ন মেয়েদের দিয়ে মামলা করিয়ে হয়রানি করে থাকেন এই শান্ত।

কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া জানান, এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। ২০ জন মেয়ে ও ৬ জন খদ্দেরের বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তির অভিযোগ এবং হোটেল মালিক শান্ত ও ম্যানেজার মিন্টুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মানব পাচার আইনে মামলা হয়েছে।

পাঠকের মতামত