নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘প্রগতিকে দাও গতি’- প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দেশে অর্থনৈতিক, সমাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর আংশগ্রহণের চিত্র কিছুটা সুখকর হলেও- নীতিনির্ধারণী জায়গায় এখনো অনেক পিছিয়ে বলে মনে করেন নারী নেত্রীরা। পাশাপাশি রয়েছে নির্যাতন, বৈষম্য এবং প্রতারণার গল্প। সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক অবস্থান গড়ে তুলতে নারীদের আরো সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করেন তারা।
চিরায়ত ঘর কন্যার শেকল ভেঙ্গে আজ বেরিয়ে এসেছে নারীসমাজ। শত প্রতিকুলতার মাঝেও তৈরি করে নিয়েছে নিজেদের শক্ত অবস্থান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ও দপ্তরে ৭৭ জন সচিবের মধ্যে ৮ জন নারী। আটটি বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যে একজন নারী এবং ৬৪ জেলা প্রশাসকের মধ্য্যে ৬ জন নারী সাফল্যের সাথে কাজ করছে। এছাড়া, পুলিশ বাহিনীর প্রায় ২ লাখ সদস্যের মধ্যে নারীর সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৭ জন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং পেশা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে নারী।
তবে পরিবার সমাজ এবং কর্মক্ষেত্রে এখনও নারীর প্রতি সহিংসতা যেমন আছে, তেমনি বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে নারীকে।
তারা বলছেন- নারীর সফলতার গল্পটা যেমন একদিনে তৈরি হয়নি তেমনি পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও একদিনে সম্ভব হবে না। সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়াসহ আরো পথ পার হতে হবে বলেও মনে করেন তারা।
নারী জাগরণের এই সংগ্রামে পাশে দাঁড়িয়েছে বৈশাখী পরিবার। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ভিন্নভাবেই সম্মান জানায় নারীর যোগ্যতা এবং কর্মকে।
শুধু একটি দিনের জন্য নয় সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল পদচারণা তৈরি করতে নারীদেরই সবার আগে এড়িয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।