
উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
আনসার ব্যারাকের লুট হওয়া সকল অস্ত্র-গুলাবারুদ নাইক্ষ্যংছড়ির তুমর্রু পাহাড় থেকে উদ্ধারের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রেস ব্রিফিং এবং গত বৃহস্পতিবার আটক নুরুল আলমকে ৫ দিনের রিমান্ড পরবর্তী আরো একদিন অতিবাহিত হয়েছে। আজ শনিবার রিমান্ডের দ্বিতীয় দিন। এরই মধ্যে এ ঘটনার মূল হোতাদের আটক করা হলেও ঘটনার সাথে জড়িত বাকী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এখনও অধরা রয়ে গেছে। আর এ মামলার তদন্তকারী র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মামলার বৃহৎ স্বার্থে এ মূহুর্তেই মূখ খুলতেও নারাজ। তবে জানা গেছে এ মামলার ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। যে কোন সময় বাকী আসামীদের আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আনতে সক্ষম হবেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,গত ১৩ মে গহীন রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের শালবন আনসার ব্যারাকে হামলা চালায় ২০ থেকে ২৫ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। এদের অধিকাংশই ছিল আরএসও নেতা। যাদের নেতৃত্বে ছিল ওমর ফারুখ। যে নাকি মিয়ানমারের পরে পাকিস্থানী নাগরিক বনে যায়। পরে বাংলাদেশে এসে সে রোহিঙ্গা কেন্দ্রীক একটি জঙ্গি গোষ্টির নেতৃত্ব দিচ্ছে । টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান,অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট ও আনসার কমান্ডার আলী হোসেন খুনের ঘটনার পর আটক নুরুল আবছার আদালতে ১৬৪ ধারার জবান বন্দিতে বলেছিল কে কে এ ঘটনায় জড়িত। কারাই বা এর পেছনের গড়ফাদার। বিশেষ করে এ ওমর ফারুক আনসার ব্যারাকের অস্ত্র-গোলাবারুদ লুটের ঘটনার সাথে জড়িত বিষয়টি সে স্পষ্ট করে অনেক তথ্য দেয় তখন। এর পর আটক হয় ঘটনার মূল হোতা নুরুল আলমকে। তিনি আরো জানান,ঘটনার প্রথম দিকে টেকনাফ থানায় মামলা হওয়ার পরপরই তিনি নিজে এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন। পরে এ মামলা তদন্ত করে আসছেন,র্যাব-৭ এর জনৈক কর্মকর্তা।
তারাই গত ২৮ ফের্রুয়ারী কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প নুরুল আলমকে আটক করে অস্ত্র উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মামলার আইও র্যাব-৭ ককসবাজার ক্যাম্পের এ কর্মকর্তা’র সাথে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করলেও তিনি নাম প্রকাশ না করে বলেন,রিমান্ডের একদিন অতিবাহিত হয়েছে ঠিকই, কিন্ত মামলার স্বার্থে তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবেন না। পরে সময় হলে জানানো হবে।
তবে এর আগে র্যাব-৭ এর ইনচার্জ লে: কমান্ডার আশিকুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে নুরুল আলমকে ৫ দিনের রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। বৃহস্পতিবারের পর থেকে নুরুল আলম র্যাবের তত্বাবধানেই রয়েছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে টেকনাফের আনসার ক্যাম্পের হামলার সাথে জড়িতদের মধ্যে প্রধান হোতাদের আটক করা হলেও বাকীরা আত্মগোপনে চলে গেছে। তারা এখনও অধরা। কিন্তু র্যাব-৭ কর্মকর্তারা নানাভাবে এ ঘটনার বিষয়ে ক্লু বের করে এর সাথে জড়িতদের আটকে নানা পরিকল্পনা এঁেক তৎপরতা চালাচ্ছেন। হয়ত পালিয়ে বেড়ানো বাকী আসামীদের আটক করা সময়ের ব্যাপার। উল্লেখ্য সম্প্রতি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা টেকনাফের আনসার ব্যারাকে হামলা চালিয়ে লুট করা অস্ত্র-গুলাবারুদ র্যাব-৭ কর্তৃক উদ্ধারের বিষয়টি দেশ জুড়ে প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়। এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গা নেতারা ও
খুব সাবধানে পা ফেলছেন। নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছে- কোথায় কী হচ্ছে।
পাঠকের মতামত