আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭/০৮/২০২২ ৯:৩৮ এএম

‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতির’ মিয়ানমার সফরে গেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোলীন হাইজার। দায়িত্ব নেওয়ার পর মিয়ানমারে এটাই তার প্রথম সফর।

অং সান সু চিকে দুর্নীতির দায়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার একদিন পর অর্থাৎ গতকাল মঙ্গলবার এই সফরে যান তিনি।

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে গত বছর মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী।

যে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভ হয়েছে এবং বিচ্ছিন্নভাবে এখনও বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভ দমনে জান্তা সরকার শক্তি প্রয়োগ করছে। যে কারণে দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা দারুণ অস্থিতিশীল হয়ে আছে।

জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে জানায়, মিয়ানমারে জাতিসংঘের নবনিযুক্ত বিশেষ দূত নোলীন হাইজার ক্রমাগত অবনতিশীল পরিস্থিতি, সাম্প্রতিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনায় জোর দেবেন।

তবে জান্তার শীর্ষ নেতা কিংবা সু চির সঙ্গে তিনি দেখা করবেন কি না, এ বিষয়ে তারা স্পষ্ট কিছু জানায়নি।

সিঙ্গাপুরের সমাজবিজ্ঞানী হাইজারকে গত বছর মিয়ানমারের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এর আগে এই পদে ছিলেন সুইস কূটনীতিক শ্রেনার বার্গেনার। তিনি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘কঠোর অবস্থান’-এর ব্যাপারে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

তাই মিয়ানমার গণমাধ্যমে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন এবং জান্তা তাকে মিয়ানমার সফর করতে দেয়নি।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। সু চি ও তার দলের অন্য নেতাদের গ্রেপ্তার করে চলছে কথিত বিচার। মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিশেষ এশীয় ১০ দেশের জোট আসিয়ানের কোনো চেষ্টা এখন পর্যন্ত কাজে আসেনি। এর মধ্যে ওই দেশ সফরে গেছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত।

সূত্র: রয়টার্স।

পাঠকের মতামত