আশ্বিনের শেষে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মৌসুমী বায়ু (বর্ষা)। বজ্র্রমেঘের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতেরও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
তবে এ অবস্থা আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে কেটে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সারাদিনই ঢাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। সঙ্গে ছিল বাতাস। সন্ধ্যার পর বাতাসের গতি বেড়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদফতর এক সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে, গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হওয়ায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এজন্য চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে সতর্ক বার্তায়।
অপর দিকে ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়া প্রায় সারা দেশেই বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে হাতিয়ায়, ১৩১ মিলিমিটার।
বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্নস্থানের তাপমাত্রাও তুলনামুলক কম ছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ওই সময়ে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পরে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশের উত্তরাংশ থেকে বিদায় নিতে পারে।