সংবাদদাতা::
পরিবারিক চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসা আড়াল করতে আগামী ১০ নবেম্বর অনুষ্টিতব্য হৃীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ পেতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন স্বরাষ্টমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা গড়ফাদার র্যাবের ত্রুয়ফায়ারে নিহত নুর মোহাম্মদদের ছেলে নুরুল আমিন ফাহিম।হৃীলা ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক পদ পেতে ইতিমধ্যে ফাহিম ম্যানেজ করেছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাসহ টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের এক নেতাকে।এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নুরুল আমিন ফাহিম স্কুলছাত্র হত্যা মামলার প্রধান আসামীর পাশাপাশি সরকারী কর্তব্য কাজে আক্রমণকারী ও একজন চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ী।২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারস্থ টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আমলী আদালতে টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেনের দাখিলকৃত ৫৮৬ নাম্বার চার্জশীটের সূত্র থেকে জানা যায়,২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারী র্যাব-৭ (কক্সবাজার)-এর ডিএডি মোহাম্মদ আলী হায়দারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল নুরুল আমিন ফাহিমের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তার মা রোহিঙ্গা মিনারা বেগমকে আটক করে।গর্ভধারিনী মায়ের আটক হওয়াকে ভাল ভাবে নেয়নি ফাহিম। এ ঘটনায় ফাহিমের নেতৃত্বে দূধর্ষ একদল ইয়াবা ব্যবসায়ী র্যাবের সোর্স সন্দেহে হ্নীলা হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী সরুয়ারুল ইসলামকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে নিয়ে পৈচাশিক কায়দায় নির্মমভাবে নির্যাতন করে অর্ধমৃত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।পরে সরোয়ারের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে সে দীর্ঘ ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১৭ জানুয়ারী সে মারা যায়। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী নিহত সরোয়ার মা ছকিনা বেগম বাদী হয়ে নুরুল আমিন ফাহিমকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে ৩৬৪/৩০২/৩৪ ধারায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের ৩নং আমলী আদলতে সিআর মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-উক্ত ৪০/১৪।এ মামলার তদন্ত রির্পোটে তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির হোসেন নুরুল আমিন ফাহিমকে একজন চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ী উল্লেখ করে প্রধান আসামী হিসেবে সরোয়ার হত্যার সম্পৃত বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।এ মামলায় পুলিশের খাতায় সে এখনো পলাতক আসামী । এছাড়াও গত ২০০৯ সালের ২৮ আগষ্ট ৪২ বিজিবি’র নয়াপাড়া বিওপি’র নায়েব সুবেদার সরোয়ারর্দী বাদী হয়ে চোরাই গরু উদ্ধারকালীন সময়ে সরকারী কর্মচারীদের উপর আক্রমণ ও কর্তব্য কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে নুরুল আমিন ফাহিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যা থানায় ১৭ নাম্বারে নথিভুক্ত হয়। টেকনাফ থানা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে,ফাহিমসহ তার পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় তার পিতা-চাচাসহ বেশ কয়েক জনের নাম আছে। তার চাচা স্বরাষ্টমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হুদার বিরুদ্ধে রয়েছে টেকনাফ থানায় ৭-৮ টি মামলা।নুরুল হুদা গত ইউপি নির্বাচনে কালো টাকা ছড়িয়ে মেম্বার নির্বাচিত হলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের ভয়ে এখনো শপথ পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারেননি।সেখানে পুনঃ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে টেকনাফ নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও ২০১৪ সালের ২০ মার্চ ইয়াবার চালান খালাসের সময় বিজিবি-র্যাবের সাথে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বন্দুকযুদ্ধে ফহিমের পিতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ নিহত হন। তার পিতা নিহত হলে বড় পুত্র হিসেবে পৈত্রিক ব্যবসার হাল ধরে ফাহিম। ব্যবসার সুবিধার্থে চট্টগ্রামের শীতল ঝর্ণা এলাকায় অবস্থান করে পড়ালেখার নামে পুরোদমে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে সে। গত ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বায়েজিদ থানা পুলিশ তার চট্রগ্রামের বাসায় অভিযান চালায়।এ সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফাহিম কৌশলে পালিয়ে গেলেও তার বাসা থেকে ৩৬ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা লেনদেনের নগদ ৪৮ লাখ টাকাসহ ফাহিমের ছোট বোন সেলিনা আক্তার সেলিসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।স্থানীয় রাজনৈতিক সচেতন মহল ও ছাত্রলীগ নেতাদের মতে,হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে যদি একজন হত্যা মামলার প্রধান আসামী,সরকারী কর্তব্য কাজে আক্রমণকারী ও চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ী পরিবারের হাতে যায় তাহলে ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠন তার হৃত গৌরব হারিয়ে ফেলবে।a