বিশেষ প্রতিনিধি:
স্বামী রাতভর অন্য মহিলার সাথে কথা বলে, আমাকে সময় দেয়না। তাই প্রেমিকের বাসায় চলে এসেছি। আমি আর যাবনা। বক্তব্যটি ককসবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মিজানুর রহমানের স্ত্রীর ( নাম প্রকাশ করা হলনা) । কিন্তু বিধি বাম প্রেমিকের বাড়িতে পৌছানোর ৪ ঘন্টার ব্যবধানে পুনরায় স্থানিয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় প্রেমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে স্বামীর হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে উক্ত মহিলাকে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরকিয়া প্রেমিককে আর প্রেম না করার শর্তে ৩শ টাকার নন জুডিশিয়্যাল স্ট্যাম্পে স¦াক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শি ও কাঠালিয়ামুরার কয়েকজন জানান, পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যেক্ত্যা মিজানুর রহমানের স্ত্রীর সাথে তারই দোকানের কর্মচারি কাঠালিয়ামুরা এলাকার সাইফুলের সাথে পরকীয়া চলে আসছিল । স্বামীর অনুপস্তিতিতে দোকান কর্মচারি বাড়ির সকল কাজ করে এবং উভয়ের মধ্যে অবৈধ সর্ম্পক তৈরি হয় । এরই মাঝে স্বামি ঘটনা আচঁ করতে পেরে ১ সপ্তাহ আগে সাইফুলকে দোকান থেকে তাড়িয়ে দেয় মিজান। পরে ২১ অক্টোবর মিজানের স্ত্রী সকালে প্রেমিকের বাড়ি কাঠালিয়ামুরা চলে যায়। প্রেমিকা স্থানীয় লোকদের কাছে বলেছে তার স্বামী তাকে সময় দেয়না, রাতভর অন্য মহিলার সাথে কথা বলে ,সে সাইফুলের বাড়ি থেকে যাবেনা। তার রেকর্ডকৃত বক্তব্য থেকে স্বামীর অবহেলার বিষয়টি স্পষ্ট ফুটে উঠে।
প্রেমিকের বাড়ি পৌছানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যান মাস্টার আবদুর রহিম ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফ উল্লাহ ও গ্রামপুলিশ জামাল উদ্দিনকে পাঠিয়ে প্রেমিকের বাড়ি থেকে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে স্বামীর হাতে ফিরিয়ে দেয়। পরে প্রেমিক সাইফুল কে ডেকে এনে চেয়ারম্যান আর প্রেম না করার শর্তে ৩শ টাকার নন জুডিশিয়্যাল স্ট্যামে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।