ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরাঘোনা গ্রামের আব্দুল মাবুদের ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৩ বছরের কন্যাকে জোরপুর্বক অন্যত্রে বিবাহ দেওয়ার প্রস্তুতি কালে বিবাহ বন্ধের নির্দেশ দিলেন মহেশখালি থানা নির্বাহী অফিসার।
স্কুল পড়ুয়া মেয়েটির বড়মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন আজাদ বিষয়টি স্থানীয় ইউএনও কে অবহিত করলে তড়িৎ গতিতে থানা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল কালাম সরজমিনে গিয়ে তদন্তপুর্বক বিয়ে বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল কালাম বাল্য বিবাহ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এমন খবর চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে মহেশখালি উপজেলার সবকটি গ্রামে জনগনের মাঝে ব্যাপক প্রসংশিত আলোচনা ও স্বস্তি ফিরে পায় স্থানীয় জনগন।
সাম্প্রতিকতম সময়ে মহেশখালি উপজেলার থানা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল কালাম একের পর এক জনহিতকর প্রসংশনীয় সমাজ বিরোদী কাজের অভিযান পরিচালনা করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন মহেশখালি উপজেলায়। যেমন মাদক বিরোদী, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ,ফেসবুকে পাইরেসি অপপ্রচার বন্ধের নিয়মিত কার্যকর ভুমিকায় পালন করে যাচ্ছেন।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বনিক চন্দ্র পাল জানান, ইউএনও কতৃক বাল্য বিবাহ বন্ধের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেয়েছেন বলেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এবং বাল্য বিবাহ বন্ধের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন আজাদ,ও মোঃ শাওন, আব্দুল কাদের, স্থানীয় মুরুব্বি জাফর আলম, মহেশখালী থানার পুলিশ কর্মকর্তাসহ পশ্চিম ফকিরাঘোনার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।