প্রকাশিত: ১৩/০৪/২০১৭ ৭:০৭ এএম

নিউজ ডেস্ক::

সৌদি আরবে সাধারণ ক্ষমা গ্রহণের ক্ষেত্রে আগেরবারের মতো বাংলাদেশিদের সাড়া মিলছে না। জেদ্দায় বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এফ. জি বোরহানুদ্দিন বলেছেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করার দু’ঘণ্টার মধ্যেই আমরা ‘ট্রাভেল পাস’ দিয়ে দিচ্ছি। তবে ২০১৩ সালের সাধারণ ক্ষমার সময় যে পরিমাণ মানুষ এ পদক্ষেপে সাড়া দিয়েছিল এবার সে সংখ্যা নিতান্তই কম। তবু তারা আশা করছেন দিনে গড়ে তারা ৩০০ মানুষকে এমন ট্রাভেল পাস ইস্যু করতে পারবেন। এ খবর দিয়েছে সৌদি আরবের অনলাইন সৌদি গেজেট। এতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার অধীনে ট্রাভেল পাস দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যেসব নাগরিক সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাস করছেন এবং তিন মাসের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে দেশে ফিরতে চান তাদের জন্য এ ট্রাভেল পাস। সাধারণ ক্ষমার এই সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কাউকে অবৈধভাবে সৌদি আরবে পাওয়া গেলে তার জন্য রয়েছে শাস্তির বিধান। কনসাল জেনারেল বোরহানুদ্দিন বলেছেন তার স্টাফদের যত দ্রুত সম্ভব আবেদনকারীকে সহায়তা করতে। আগামী দিনগুলোয় যদি এক্ষেত্রে জনবল প্রয়োজন হয়, তাহলে বাড়তি জনশক্তি ঢাকা থেকে পাঠানোর জন্য তিনি সরকারের কাছে আবেদন করবেন। তবে বর্তমানে যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়ছে শেষ পর্যন্ত যদি এমনই থাকে তাহলে তার বাড়তি কোনো জনশক্তির প্রয়োজন না-ও হতে পারে। কনসাল জেনারেল বলেছেন, বাংলাদেশি মিশন শুধু ওইসব মানুষকে ট্রাভেল পাস দেবে, যারা সৌদি আরব ছাড়তে চান সাধারণ ক্ষমার আওতায়। তবে অবশ্যই এ ট্রাভেল পাস হবে ‘ওয়ান ওয়ে’। অর্থাৎ তা মাত্র একবার ব্যবহার করা যাবে। তিনি আরো বলেন, যেসব মানুষের মূল পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে আমরা তাদের সৌদি আরব থেকে তা নবায়ন করে দিতে পারবো না। কারণ, সব মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় শুধু ঢাকা থেকে। এজন্য তারা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নবায়ন করাতে পারবেন না। যথাযথ সময়ের মধ্যেও এর কাজ শেষ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে তারা যা করবেন তা হলো, যদি কোনো বাংলাদেশির পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে থাকে এবং তিনি যদি তা নবায়ন করার আবেদন করেন তাহলে ‘আমরা এমন আবেদনকারীর জন্য একটি ‘ওয়ান-ওয়ে’ ভ্রমণ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট ইস্যু করবো। তা নিয়ে তিনি বাংলাদেশে গিয়ে সেখানে পাসপোর্ট নবায়ন করাতেও পারেন অথবা নতুন পাসপোর্টও করতে পারেন। তবে সেই পাসপোর্টে পুরনো কাজে সৌদি আরবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ফিরতে পারবেন বলে মনে হয় না। বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি। অবৈধ বাংলাদেশিদের সাধারণ ক্ষমার এই সুযোগ নিতে প্রতি সপ্তাহে মদিনা, আভা, নাজরান, জিজান, তাবুক, তায়েফ ও অন্য বড় বড় শহরে কাজ করবে কনসুলার টিমের সদস্যরা। #মানবজমিন

পাঠকের মতামত

বিদেশে থাকা নাগরিকেরা ফিরতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে: মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান

জান্তা শাসনামলে মিয়ানমারের যেসব নাগরিক দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যত্র চলে গেছেন, তাঁরা চাইলে আবার ...

মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ বাতিল করছে যুক্তরাষ্ট্র

টেম্পোরারি প্রোটেকটেড স্ট্যাটাস’ (টিপিএস) কর্মসূচির আওতায় মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য চলমান ‘অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা’ (টিপিএস) বাতিলের ...

শান্তি চুক্তিতে রাজি না হলে ইউক্রেনকে সহায়তা বন্ধের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির কাঠামোতে সম্মত না হলে কিয়েভকে গোয়েন্দা তথ্য ...